সোনারগাঁয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রমিজউদ্দিন, মোসলেউদ্দিন, চাঁন বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার, মেহেদী ও শুক্কুর মাহমুদের পক্ষের কামরুল ইসলাম, ওমর আলী , আব্দুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার হোসেনের নাম জানা গেছে।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক।
নির্বাচনী তর্ক বিতর্ক ও বাকবিতন্ডার জেরে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বারদি ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে পুলিশ বলছে, নির্বাচনী কোন বিষয়ে নয়, মেলার নাগরদোলা বসানোকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি সদস্য ওসমান গণি ও ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে বিরোধ চলছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সারের মনোনয়ন নিয়ে বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ইউপি সদস্য ওসমান গণির ছেলে মেহেদী হাসান, জাকারিয়ার সঙ্গে শুক্কুর মাহমুদের সমর্থক বাবুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়।
এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লম, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, চাপাতি নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর হামলা করে। ফলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় ইউপি সদস্য ওসমান গণির পক্ষের রমিজউদ্দিন, মোসলেউদ্দিন, চাঁন বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার, মেহেদী ও শুক্কুর মাহমুদের পক্ষের কামরুল ইসলাম, ওমর আলী , আব্দুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার হোসেন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে অন্তত দশজন আহত হন।
এ ব্যাপারে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ওসমান গণি জানান, বুধবার রাতে তার নাতি নৌকার শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্কুর মাহমুদের লোকজন রাতে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় সকালে শুক্কুর মাহমুদ, সোলায়মান ও সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে অর্ধশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, রামদা নিয়ে তাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। হামলায় তার পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে।
শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওসমান মেম্বারের পক্ষের জাকারিয়া জাতীয় পার্টির নেতা। তিনি জাতীয় পার্টির এ ওয়ার্ডের সভাপতি। সোনারগাঁ আসনে আবদুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বছরও তিনি মনোনয়ন ধরে রাখতে পারবেন না এমন মন্তব্য নিয়ে তার পক্ষের বাবুলের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হয়। সকালে পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তার পক্ষের টেঁটাবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
তবে ঘটনা প্রসঙ্গে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এ ঘটনয় মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
