নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ পন্থায় উৎপাদনের অভিযোগে তিনটি মশার কয়েল কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারটি আবাসিক ভবনের অর্ধ শতাধিক অবৈধ চূলার সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়। অবৈধ গ্যাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা কারখানাগুলো হচ্ছে- পাগলা মশার কয়েল, বসুন্ধরা মশার কয়েল ও ডি কে বুস্টার মশার কয়েল কারখানা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিলয় রহমানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে মিজমিজি উত্তরপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়।
শুরুতেই পাশাপাশি অবস্থিত তিনটি কয়েল কারখানায় অভিযান চালালে সবগুলোতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে উৎপাদনের প্রমান পাওয়া যায়। এসময় অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দুইটি কারখানার মালিক কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
তবে বসুন্ধরা কয়েল কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে কারখানায় পাওয়া গেলে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা তিনটি কারখানা থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমান অবৈধ পাইপ, রাইজার ও বার্ণার।
এছাড়া বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি ভবনের ফ্ল্যাটে অর্ধ শতাধিক অবৈধ গ্যাসের সংযোগ পাওয়া গেলে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিমিটেড জোবিঅ নারায়ণগঞ্জ এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান জানান, স্থানীয় দূর্বৃত্ত চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ নিয়ে মশার কয়েল উৎপাদনকারি কারখানাগুলো দীর্ঘদিন যাবত পরিচালিত হচ্ছিল।
ইতিপূর্বে কয়েকবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরেও তারা একই পন্থা অবলম্বন করছে। অবৈধ সংযোগ বন্ধে এবার তিতাসের মূল বিতরণ সংযোগটি স্থায়ীভাবে সীলগালা করা হয়েছে বলে জানান তিতাসের এই কর্মকর্তা।