সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে এবার দিনে নয় অনেকটা চুরি করে রাতের আধারে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবজর্না। ফলে একদিকে দিনের বেলায় ময়লা আবজর্না অপসারণ করছে হাইওয়ে পুলিশ অপরদিকে রাতের আধারে ময়লা আবর্জনা ফেলছে ময়লা সিন্ডিকেট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, পারিজাত, সানারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের পার্শ্বে অহরহ ফেলা হতো ময়লা আবর্জনা। নিদ্দিষ্ট ডাম্পিং থাকার পরও কেন মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলা হতো তা নিয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানা গেছে, মুলত মহাসড়কের পাশে সওজের জমি দখলের কৌশল হিসেবে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ময়লা আবর্জনা ফেলতো।
বিভিন্ন গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মহাসড়কের পাশে^ ময়লা অপসারন শুরু করে হাইওয়ে পুলিশ ও সওজ। কিন্ত একদিকে ময়লা আবজর্না অপসারন করে হাইওয়ে পুলিশ অপরদিকে রাতের আধারে গোপনে চুরি করে ময়লা ফেলছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাইনবোর্ড পারিজাতের সামনে এবং একটি বেসরকারী হাসাপাতালের সামনে র্দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবজর্না ফেলে আসছে একটি সিন্ডিকেট। স্থানীয় লোকজনের আপত্তির মুখে তারা ময়লা ফেলার কাজ চালিয়ে আসছে।
সংবাদ প্রকাশের পর কিছু দিন থেমে থাকার পর এবং আবারো রাতে আধারে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবজর্না। একদিকে হাইওয়ে পুলিশ ও সওজ ময়লা আবজর্নার অপসারণ করছে অন্যদিকে রাতের বেলায় ঠিক একই স্থানে ময়লা আবজর্না ফেলা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে দেয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পারিজাতের সামনে গভীর রাতে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবজর্না। একদিকে ময়লা ফেলার ভ্যান ময়লা ফেলছে তাদের পাহারা দিচ্ছে মাস্তান প্রকৃতি কিছু দুস্কৃতিকারী। এদের ভয়ে ভুক্তভোগীরা কোন প্রতিবাদ করতে পারে না।
ভুক্তভোগী আলম শেখ জানান, ময়লা আবজর্না ফেলার কারনে আমাদের দুর্ভোগ চরমে। তবে আশারবানী ছিলে হাইওয়ে পুলিশের ময়লা আবজর্না অপসারন। কিন্ত দিনে অপসারন হয় আবার রাতে ময়লা সিন্ডিকেট আবারো ময়লার স্তুপ জমায়। রাতের আধারে অনেকটা চুরি করে ময়লা ফেলার কারনে এদের কেউ চিহ্নিত করতে পারেনা।
মহাসড়কের পাশে একটি পেট্রোলপাম্পের কর্মচারী তৌহিদ জানান, ময়লা অপসারনের পর যদি এখানে তারের বেড়া দিয়ে দেয়া হয় তাহলে হয়তো ময়লা ফেলা বন্ধ হতো । কিংবা কেউ যদি সবুজ বনায়নের জন্য গাছ লাগিয়ে দেয় তাহলে ময়লা ফেলা বন্ধ হতো। এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ সওজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতলে রোগী নিয়ে আসা কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, মহাসড়কে পাশে প্রো-অ্যাকটিভ বৃহৎ হাসপাতাল। দুর দুরান্ত থেকে এখানে রোগী নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালের অদুরে বিশাল ময়লার ভাগাড়। এতে করে দুগন্ধে টিকে থাকা দায় অপরদিকে মশার উৎপাত বেড়েছে। মনে হচ্ছে হাসপাতালের সামনেই ডেঙ্গু মশার চাষ হচ্ছে।
আরেকজন রোগীর স্বজন মিলন রহমান জানান, হাসপাতালের সামনে ময়লা ফেলা হচ্ছে কেউ দেখছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজটা কি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
হাইওয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মহাসড়কের নিরাপদ যানচলাচলের জন্য সড়কের পার্শ্বে যাতে ময়লা ফেলতে না পারে সেজন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাইওয়ের পাশে ফেলা দীর্ঘদিনের ময়লা আবর্জনা অপসারণ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
গাজীপুর হাইওয়ে রিজওয়ানের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ ময়লা আবর্জনা স্তুুপ অপসারণ করা হয়। তবে রাতের আধারে আবারো ময়লা ফেলার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
এবিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস এ সাথে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।