কাঁচপুর হাইওয়ে থানার আওতাধীন শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্ব থাকা সার্জেন্ট ও রেকার আপারেটর আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজুলের রেকার বানিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চালকরা।
এসময় শিমরাইল-আদমজী ইপিজেড-নারায়ণগঞ্জ সড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারন যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।
রবিবার (৯ সেপ্টম্বর) সকাল ১১টার শিমরাইল-ইপিজেড-নারায়ণগঞ্জ সড়কের চিটাগাংরোড বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অর্ধ শতাধিক অটো চালকরা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) একেএম মো.শরফুদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে ব্যাটারী চালিত অটো চালকদের সড়িয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভরত আটো চালকরা জানান, হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট, রেকার আপারেটর আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজ তাদের পালিত সোর্স দিয়ে আমাদের আটোরিক্সা, ইজিবাইক, মিশুক আটক করে মামলা দেয় এবং ডাম্পিং বিল বাবদ করে ৩ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকে।
রেকার আপরেটার আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজ তাদের খেল খুশি মতো কোন গাড়ি থেকে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয় এমন অভিযোগ আটো চালকদের।
সবুজ নামে এক আটো চালক বলেন, রেকার আপরেটার আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজ তাদের বেতন ভুক্ত সোর্স দিয়ে গাড়ি ধরে ডাম্পিং করে থাকে এর পরে রেকার বিল না করে এক হাজার থেকে চার হাজার টাকা করে নিয়ে ডাম্পিং থেকে গাড়ি ছেড়ে দেয়।
ডাম্পিং সে সকল নতুন গাড়ি ঢুকে, সেই গাড়ি আর পাওয়া যায় না। আবার কোন কোন গাড়ির নতুন ব্যাটারি থাকলে সেই ব্যাটারি তাদের সোর্স দিয়ে খুলে রেখে দেয়। সেই ব্যাটারি অন্যত্র বিক্রি করে দেয় এমন অভিযোগ করে আটো চালকরা।
আরেক আটো চালক আবুল হোসেন বলেন, আমাদেরকে চালাচলের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হক, আমরা হাইওয়ে রাস্তায় যাবো না। তারা আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে থাকে। আমাদের মা বাবা বোন কে নিয়ে খারাপ ভাষায় গালাগাল করে।
আমরা পেটের দায়ে, না জেনে, না শুনে, না বুঝে শিমরাই মোড়ে আসি, তখন তাদের সোর্স দিয়ে গাড়ি ধরে ড্যাম্পিং করে। আমাদের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হক, যাতে করে আমরা সীমানা দেখে বুজতে পারি এটা হাইওয়ে রাস্তার সীমানা।
জুয়েল হোসেন নামে এক আটো চালক বলেন, আমরা হাইওয়ে রাস্তায় উঠি না, আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ সীমানা মধ্যে থেকে আটো রিক্সা চালিয়ে থাকি। রেকার আপরেটার আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজ তাদের সোর্স দিয় বিদূৎ আফিসের সামন থেকে জোড় করে গাড়ি ধরে নিয়ে যা, আমরা গাড়ি শিমরাইল মোড়ের ময়লার ওখান থেকে ধরে নিছে।
আটো চালকরা আরও বলে, ফুট ওভার ব্রীজের নিচে উল্টা পথে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশের সামনে থেকে বড় বড় আটো রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।
হাইওয়ে পুলিশ ওই আটো রিক্সা না ধরে তাদের সোর্স দিয়ে আমারে গাড়ি গুলো ধরে আনে, এবং ডাম্পিং করে দেয়। আজ সকাল থেকে রেকার আপরেটর আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজ স্যার এবং তাদের সোর্স প্রায় ৩০-৪০টি গাড়ি ধরে কাঁচপুর ডাম্পিং এ নিয়ে গেছে।
সেখান আনেক গাড়ি ডাম্পিং বিল না দিয়ে রেকার আপরেটার আনিছ এবং রেকার ড্রাইভার সিরাজকে ২০০০ টাকা করে দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে আনছেন আটো মালিকরা।
একাধিক আটো চালকদের দাবী আমাদেরকে হাইওয়ের রাস্তার সীমনা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। আমরা হাইওয়ে রাস্তায় যাবো না।
এবিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শরফুদ্দিন বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। মহাসড়কের সীমানার বাহিরে থেকে কোনো অটোরিকসা আটক করা হয়নি। সকালে মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে ডাচবাংলা ব্যাংকের সন্নিকটে মহাসড়ক থেকে কয়েকটি অটোরিক্সা আটক করে ডাম্পিং পয়েন্টে পাঠানো হয়।
পরে দুপুরের দিকে কয়েকজন লোক সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে জড়ো হলে খবর পেয়ে সেখানে যাই। তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তারা কোনো অটোর চালক বা মালিক নন। পরে তারা চলে যান।
এসময় তিনি নিশ্চিত করেন হাইওয়ে পুলিশের কেউ অনৈতিকভাবে অটো আটক বা রেকারর বানিজ্যের সাথে জড়িত নয়। কেউ এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।