সিদ্ধিরগঞ্জে নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে মো. আব্দুল মমিন হেলাল (২৮) নামে এক লম্পটের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মী রোববার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এর সূত্রধরে কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকা থেকে অভিযুক্ত লম্পট মো. আব্দুল মমিন হেলালকে গ্রেপ্তার করে।
এরআগে গত শনিবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকায় হেলালের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
অভিযুক্ত মো. আব্দুল মমিন হেলাল খুলনা জেলার কয়রা থানা এলাকার সাহাব উদ্দিন সানার ছেলে। বর্তমানে সে কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকার কাদের মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বহুল বিতর্কিত ও বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে অভিযুক্ত একাধিক মামলার আসামি বিএনপি নেতা এসএম আমিনুল হক টুটুলের ম্যানেজার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি বর্তমানে আদমজী ইপিজেড এ একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। অভিযুক্ত হেলালের সাথে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিতেন।
এরই মধ্যে গত শনিবার রাত নয়টার সময় ভুক্তভোগী তার কর্মস্থল হতে বাসায় যাওয়ার পথে কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকায় অভিযুক্তের এক্সপার্ট জোন নামক দোকানের সামনে পৌছালে অভিযুক্ত আব্দুল মমিন হেলাল ওই নারীকে কথা বলার সুবাদে দোকানের ভিতরে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয় এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেন।
ভুক্তভোগী বাধা দিলে অভিযুক্ত হেলাল এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন করারও হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় তার দোকানে কেনাকাটা করতে আসলে সেই সুবাদে অনেক নারীদেরকেই কুপ্রস্তাব, অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ও হুমকির ঘটনায় হেলালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, বিএনপি নেতা, একাধিক মামলার আসামি এস এম আমিনুল হক টুটুলের ছত্রছায়ায় হেলাল দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হেলালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই উল্টো বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান ওই বিতর্কিত বিএনপি নেতা আমিনুল হক টুটুল।
এদিকে নারী গার্মেন্টস কর্মীর অভিযোগে পুলিশ হেলালকে গ্রেপ্তার করার পরপরই তাকে ছাড়াতে থানায় এসে বিভিন্ন ভাবে তদবির করেন আমিনুল হক টুটুল। এদিকে বিষয়টি জানতে টুটুলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনা ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।