ফতুল্লায় অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাসেল নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদীর মেঝো মেয়ে নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ অর্নাসের ১ম বর্ষে পড়াশুনা করেন। কলেজে আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে বখাটে ইমতিয়াজ আহাম্মেদ রাসেল তার মেয়েকে প্রেম নিবেদন করা সহ বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল।
এসময় তার মেয়ে বখাটে রাসেলের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যক্ষান করাসহ ঘটনার বিষয়ে পরিবারের লোকজনকে জানালে রাসেলকে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করার পরও বখাটে রাসেল কোন কর্নপাত না করে পূর্বের ন্যায় কলেজে আাসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করা অব্যাহত রাখে।
এমনকি বখাটে রাসেল তার মেয়েকে হুমকি প্রদান করে যে, প্রেমের প্রস্তাবে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রাজী না হলে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কমেন্ট ও পোষ্ট দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিকভাবে হেওপ্রতিপন্ন করা হবে। এমতাবস্থায় বখাটে রাসেলের অব্যাহত এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তসহ কলেজে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয় তার মেয়ে।
সর্বশেষ, ২৪ আগস্ট সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে বাদীর মেয়ে কলেজে যাওয়ার পথে বাহির হয়ে ফতুল্লার লামাপাড়া খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে পৌছামাত্র বখাটে রাসেল প্রেম নিবেদন করা সহ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে উত্যক্ত করে। এক পর্যায়ে বখাটে রাসেল তার মেয়ের গায়ে থাকা ওড়না টান দিয়া নিয়া নেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
ফতুল্লা মডেল থানার (ওসি) নূরে আযম জানান, এঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বখাটে রাসেলকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু হানিফ জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে বখাটে রাসেলকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, গত কয়েক বছর পূর্বে ফতুল্লার তক্কারমাঠ শিয়ারচর এলাকায় নারী নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করার অভিযোগে হাতে নাতে আটক করে বখাটে ইমতিয়াজ আহাম্মেদ রাসেলকে। এসময় এলাকাবাসী বখাটে রাসেলকে গনধোলাই প্রদান করেন।