ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড জনবহুল এলাকার একপাশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল অপর পাশে বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র এর মাঝখানে বিশাল ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিনই দুর দুরান্ত থেকে নিয়ে আসা ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে।
এতে করে একদিকে যেমন বেড়েছে মানুষের চরম দুর্ভোগ অপর দিকে বেড়েছে মশার যন্ত্রণা। হাসপাতালের সামনে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপের কারনে বেড়েছে ডেঙ্গেুর প্রকোপ। অনেকে বলেছেন যেন হাসপাতালের সামনেই ডেঙ্গুর চাষ হচ্ছে।
অপরদিকে ময়লা দুগর্ন্ধে টেকা হয়ে দায় হয়ে দাড়িয়েছে বানিজ্যিক কেন্দ্রের ব্যবসায়িদের। দুর্ভোগের শিকার শত শত মানুষ পরিত্রান পেতে ময়লার ভাগড় অন্য কোন স্থানে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা দেখা গেছে, ঢাকা চট্রগাম মহাড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড পারিজাত এলাকায় সওজের পরিত্যক্ত জমিতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়ক ঘেষে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরের্শনের ৩ নং ওয়ার্ডে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট ডাম্পিং থাকার পরও দুর দুরান্তের বাসা বাড়ি ও মার্কেট থেকে প্রতিদিন ময়লা আবর্জনা এনে পারিজাত বানিজ্যিক কেন্দ্রে ও প্রো-এ্যাক্টিভ হাসপাতালের সামনে ফেলা হচ্ছে।
এতে করে একদিকে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে অন্যদিকে মহাসড়কে ময়লা ফেলার কারনে বেড়েছে দূর্ঘটনার ঝুঁকি। ময়লা ফেলার কারনে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে ।
হাসপাতলে রোগী নিয়ে আসা কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, মহাসড়কে পাশে প্রো-অ্যাকটিভ বৃহৎ হাসপাতাল। দুর দুরান্ত থেকে এখানে রোগী নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালের অদুরে বিশাল ময়লার ভাগাড়। এতে করে দুগন্ধে টিকে থাকা দায় অপরদিকে মশার উৎপাত বেড়েছে। মনে হচ্ছে হাসপাতালের সামনেই ডেঙ্গু মশার চাষ হচ্ছে।
আরেকজন রোগীর স্বজন মিলন রহমান জানান, হাসপাতালের সামনে ময়লা ফেলা হচ্ছে কেউ দেখছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজটা কি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, সাইনবোর্ড পারিজাত বানিজ্যিক কেন্দ্রের বর্ষাকালে পানি নিস্কাসনের জন্য রয়েছে সওজের খাল এর পাশ দিয়েই চলে গেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। সওজের পরিত্যাক্ত এজমি দখল করার জন্য অভিনব কায়দায় ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
সওজের জমি মাটি দিয়ে ভরা করতে গেলে বাধার মূখে পড়তে পারে এমন ধারনা থেকে অভিনব কৌশল নিচ্ছে দখলদারচক্র। এই চক্রটি সরকারি জমি দখলের জন্য নতুন কৌশলে ময়লা আবজর্না ফেলে তা ভরাট করে ফেলে। সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত একধিক স্থানে একই কায়দায় ময়লা ফেলে দখল করে নিচ্ছে সওজের জমি।
পারিজাত বানিজ্যিক কেন্দ্রের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, শিমরাইল মোড়ে ফলের দোকানসহ প্রায় এক হাজার অবৈধ দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা উক্ত স্থানেই ফেলা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকেও বাসা বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলে এখানে স্তূপ আকারে রেখে পরিবেশ নোংরা করা হয়েছে।
পারিজাত বানিজ্যিক কেন্দ্রের আরেকজন ব্যবসায়ি জানান ব্যবসা কেন্দ্রের সামনে এভাবে ময়লা ফেলার কারনে দুগর্ন্ধে বসে থাকা কষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া মশার যন্ত্রনা বেড়ে গেছে কয়েকগুন। ময়লা ভাগাড়টি অন্য কোন স্থানে সরিয়ে নেয়া দাবী জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোবারক হোসেন জানান, এখানের ময়লা ফেলার বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন দেখছে। এবিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন। ময়লা ফেলার কারনে পরিবেশ দুষনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হতে তিনি বলেন, এবিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র পাল বলেন, সিটি কপোরেশন এলাকায় আমদের সুপারভাইজার আছেন। প্রতিটি এলাকায় তারা খোজ খবর রাখেন। ডাম্পিং ছাড়া ময়লা ফেলা হলে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালের সামনে ময়লা ফেলার বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেয়ার পর পরর্বর্তীতে নিয়ম মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।