সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড এলাকায় দ্রুতগামী তেলবাহী লরির ধাক্কায় পোষাক কারখানার এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইপিজেড এর বিভিন্ন গার্মেন্টের শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শিমরাইল-চাষাড়া সড়কের ইপিজেডের গেটের সামনে তারা এ সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করে আগামী রবিবার শ্রমিক প্রতিনিধি ও ট্রাক মালিক পক্ষের সাথে বেপজা অফিসে বসে এ সমস্যান সমাধানের আশ^াস দিলে ৯টার দিকে তারা ৪টি শর্তে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
শর্তগুলো হচ্ছে, আদমজী ইপিজেড’র সামনে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে মেইনগেট ও পকেট গেট এর সামনে ইজিবাইক কোনভাবেই যাত্রী উঠাতে ও নামাতে পারবে না। মেইনগেট ও পকেট গেট এর সামনে দুটি আইলেন দিতে হবে।
অফিস চলাকালীন এবং অফিস ছুটিকালীন মেইনগেট ও পকেটগেট এ ট্রাফিক পুলিশ থাকতে হবে। মেইনগেট ও পকেটগেট এ রাস্তা পারাপারের জন্য ফুট অভার ব্রীজ দিতে হবে। এদিকে এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত শ্রমিকের নাম মোছা. পারভিন আক্তার (৩০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শিবপুর গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে। আদামজী ইপিজেডের উর্মি কোম্পানির ইউ এইচ এম লিমিটেডে শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
গত বুধবার সকাল ৮ টার দিকে ইপিজেডের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রমিকরা জানান, বেপরোয়াভাবে ভারী যানবাহনের চলাচলের কারণে প্রায় সময় এই সড়কে দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়। গতকালও আমাদের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদের বিচার না হওয়ার কারণে বারবার এরা পার পেয়ে যায়। তাই আমরা আজ সড়ক অবরোধ করেছি। পরে পুলিশ এসে বিচারের আশ্বস্থ করলে ৪টি শর্তে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেই।
এ বিষয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪ (নারায়ণগঞ্জ) এর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, তারা আইনি প্রক্রিয়া না বুঝে সড়ক অবরোধ করেছিল। গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় যার মৃত্যু হয়েছে তার এখনও দাফন কাজ সম্পন্ন হয় নি। পাশাপাশি এ ঘটনায় থানা কোনো মামলাও হয় নি।
যদি পরিবার মামলা না করে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। দোষীদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা শ্রমিকদের বিচারের আশ্বস্থ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি।