ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুসলিনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এমএ মান্নান একই স্কুলের এক শিক্ষিকাকে নিয়ে পরকীয়ার টানে পালিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে আওয়ামীলীগ নেতা এমএ মান্নানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারিকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ফতুল্লার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সভা শেষে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহিম জানান, কয়েকদিন যাবত আমাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এক শিক্ষিকাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএ মান্নান আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে ঘুরতে যায়।
বিষয়টি এলাকাবাসী খারাপ দৃস্টিতে নিয়েছে এবং মিছিল সহকারে স্কুলে এসে আমাদের কাছে বিচার দাবী করেন। পরে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি তারা দুজনই বিবাহীত। স্বামী স্ত্রী রেখে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছে।
এনিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ দীর্ঘসময় সভা করে দুজনের বিষয় পৃথক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। স্কুলের সুনামরক্ষার্থে সভাপতির পদ থেকে মান্নানকে অব্যাহতি ও শিক্ষিকা দুলারিকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সাধারন সম্পাদক শওকত আলী জানান, এমএ মান্নান ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।
তিনি একটি স্কুলের শিক্ষিকার সাথে পরকীয়া করেন এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে থানা আওয়ামীলীগ দেখছে। দলের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে এমএ মান্নানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।
এবিষয়ে মান্নান বলেন, ছোট থেকে দুলারিকে ভালোবাসি। অন্যরা যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে তাহলে আমি করলে দোষের কি। তবে শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারি কোন মন্তব্য করেনি।