বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জাঙ্গালীয়া-আড়াইহাজার সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ১৫ বছর ধরে এই অবস্থায় চলাচল করছে আড়াইহাজার উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন।
অথচ এই সময়ে সড়কটি সংস্কারে দুই বার উদ্যোগ নিয়েও সুফল পায়নি এলাকাবাসী। ফলে বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, জাঙ্গালীয়া বাজার থেকে আড়াইহাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। ২০০৮ সালে সড়কটি সংস্কার করা হয়। আড়াইহাজারের খাগকান্দা, উচিৎপুরা, কালাপাহাড়িয়া ও হাইজাদী ইউনিয়নের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন এই সড়ক দিয়ে সহজে ঢাকা অঞ্চলে যাতায়াত করে।
সড়কটির ১১ কিলোমিটার বর্তমানে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী। অথচ এটি সংস্কারে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
আড়াইহাজারের উচিৎপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসমাঈল জানান, সড়কটি তাঁর ইউনিয়নসহ আশপাশের আরও ৩টি ইউনিয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘদিন যাবত সড়কটির কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। ফলে দুর্ভোগ সইতে হয়েছে। গত ৩ বছর যাবত এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। এলাকাবাসী হেঁটে বা যাত্রীবাহী যানবাহনে চলাচল করতে পারছে না।
সড়কটির সংস্কারের কাজ পেয়েছে রাজধানী ঢাকার মিরপুর পল্লবী ডিওএইচএস এলাকার এমএমআর-ইউএনটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার এস এম জামাল জানান, ‘সড়কের কাজ চালু হয়েছে। আশা করছি, চলতি বছরের মধ্যে হয়ে যাবে।’
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ‘১১ কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দ আর ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও ইট উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। গর্তে গাড়ি আটকে থাকে। তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন বন্ধ থাকে।
আবার কাদা শুকিয়ে ধুলার সৃষ্টি হয়। ধুলার কারণে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। সড়কের কাদার মধ্য দিয়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি চালাতে চালকদের সমস্যা হচ্ছে।’
আড়াইহাজার উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, আমরা দুই বার উদ্যোগ নিয়েছে। একবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কন্ট্রাকশনকে কাজটি দেওয়া হয়েছে। তারা করতে পারেনি।
বর্তমানে এমএমআর-ইউএনটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তারা করতে পারবে না। তাই কাজ বাতিলের জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম জানান, দুই বার সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কোন ঠিকাদারই কাজ করেনি।
আমরা এখন নতুন ঠিকাদার নিযুক্তির করার প্রক্রিয়ায় রয়েছি। বর্তমান ঠিকাদারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সে কাজ না ধরলে টেন্ডার বাতিল করে নতুন ঠিকাদারকে কাজটি দেওয়া হবে।