ফতুল্লায় স্বামী সন্তানকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে চিকিৎসার নাম করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় শাহীন হোসেন সুমন নামে এক ভন্ড কবিরাজকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
ফতুল্লার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলের এঘটনায় বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজ শাহীন হোসেন সুমন (৪০) মুন্সিগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর কাঠপট্রি এলাকার মৃত.মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে ফতুল্লার পাগলা সূর্যমুখী সিনেমা হল এলাকায় থেকে কবিরাজীর নামে প্রতারণা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গৃহবধূর স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন। তাদের ৫ বছর বয়সী কন্যা শিশু জন্ডিস হয়েছে মনে হওয়ায় চিকিৎসার জন্য শাহীন হোসেন সুমনের কাছে নিয়ে যায়। তখন শাহীন হোসেন সুমন তাদের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলেন।
এতে গৃহবধূ ও তার স্বামী বাসায় চলে যায়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে গৃহবধূর বাসায় এসে বলেন বাচ্চার চিকিৎসা দরকার নেই তার মায়ের চিকিৎসা করলেই হবে। একথা বলে গৃহবধূর স্বামী ও সন্তানকে বাহিরে বের করে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় শাহীন হোসেন সুমন।
এসময় গৃহবধূ চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ভন্ড কবিরাজ শাহীন হোসেন সুমনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম বলেন, কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।