বন্দরে রাজিব হত্যা মামলার ৩ এজাহারভূক্ত আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে এনেছে পুুলিশ। গত শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে তাদেরকে রিমান্ডে আনে পুলিশ।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মামলার ১নং এজাহারভূক্ত আসামি কানু মিয়া (৫০) নবীগঞ্জ রুপনগর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে ৬নং এজাহারভূক্ত আসামি শিমুল (৩১) ও নবীগঞ্জ রেললাইন বেলাল হোসেনের ছেলে ১১নং এজাহারভূক্ত আসামি সৌরভ (১৯)।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারকৃতদের গত শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ৬টা ৪০ মিনিটে বন্দর থানার নবীগঞ্জস্থ কামাল উদ্দিনের মোড়স্থ ওয়ালটন শোরুমের সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। হত্যাকান্ডের ঘটনার রাতেই বন্দর থানা পুলিশ থানার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ।
নিহত রাজিব বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের কাইতাখালি এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে নিহত রাজিবের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ৭(৭)২৩ ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল র্কোড -১৮৬০।
হত্যা মামলার আসামিরা হলো বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে কানু মিয়া (৫০) নবীগঞ্জ রুপনগর এলাকার মহিউদ্দিন ওরফে এমপি ছেলে রাতুল (২৫) নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকার রাহুল (২০)।
নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার ইউসুফ আলী ছেলে সনেট (৩২) একই এলাকার নূর হোসেন মিয়ার ছেলে রানা (৩৯) রুপনগর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে শিমুল (৩১) নবীগঞ্জ টি-হোসেন রোড এলাকার হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলে হাসান ওরফে পাকিস্তানী হাসান (৩২) ভ
রুপনগর এলাকার আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে শুভ (২৬) নবীগঞ্জ এলাকার রোমান ড্রাইভারে ছেলে সাব্বির (২০) নবীগঞ্জ উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে আমিন ওরফে রঙ্গিলা (২১) ও নবীগঞ্জ রেললাইন বেলাল হোসেনের ছেলে সৌরভ (১৯)।
উল্লেখ্য, মামলার ১নং এজাহারভূক্ত আসামি কানু মিয়া অটো ইজিবাইক চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার উল্লেখ্য সকল আসামিগন গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মামলার বাদিনীর স্বামী রাজিবকে বন্দর থানার নবীগঞ্জ নবঙ্কুর মাঠে নিয়ে চোর সাবস্ত করে।
বিচারের এক পর্যায়ে রাত পৌনে ৭টায় উল্লেখিত সকল আসামিগন বাদিনী স্বামীকে নবীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন অবস্থিত নবঙ্কুর সাংস্কৃতিক ক্লাবের পশ্চিম পাশে নবীগঞ্জ ঘাটগামী রাস্তায় নিয়া ১নং বিবাদী হুকুমে ২নং,৩নং ও ৪নং আসামি হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে বাদিনী স্বামী বুকের বাম পাশে, দুই হাতে, ডান দিকের পাজরে গুরুত্বর কাটা জখম করে।
বাকি অন্যান্য আসামিরা আমার স্বামীকে ধরে রাখে। পরবর্তীতে বাদিনী স্বামী গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হয়ে নবঙ্কুর সাংস্কৃতিক ক্লাবে গিয়ে পরে যায়। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন বাদিনী স্বামীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাজিব হত্যাকান্ডের রাতেই বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১নং, ৬নং ও ১১নং এজাহারভূক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হয়েছে।
আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।