নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভূইয়াপাড়া হোসাইন নগর আল-সাবা আবাসিক এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলার আসামি মাদক ব্যবসায়ী মনির (৩০) প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী। এ নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে আতংক। মনির ওই এলাকার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে।
জানাগেছে, ভূইয়াপাড়া হোসাইন নগর আল-সাবা আবাসিক এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মনির। পাশা-পাশি বাড়ি হওয়ার সুবিধায় কিছু হলেই নিজের মেয়ের মতো আদর করে বাসায় নিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সুযোগ করে দিতো মনিরের মা সাবিনা বেগম।
সম্পর্কের জেরে দুইজনের মধ্যে গড়ে উঠে শারীরিক সম্পর্ক এক পর্যায়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে কাজীকে বাড়িতে এনে বিয়ে করে। তবে বিয়ে করলেও এই পুরো বিষয়টি ছিল মনিরের মা সাবিনা বেগমের পরিকল্পিত সাজানো নাটক।
পরবর্তীতে ওই স্কুল ছাত্রী ভুক্তভোগী জানতে পারে এক হিন্দু ধর্মের লোক এনে বিয়ের নাটক সাজিয়েছে মনির ও তার মা সাবিনা বেগম এতে সহযোগিতা করেছে মনিরের বড় ভাই রাতুল সরকার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, শুধু আমি মুনিয়া একজনই তাদের লালসার স্বীকার হয়েছি বিষয়টি তা নয় আমার মতো একাধিক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে সাবিনা বেগম ও তার ছেলে মনির।
আমি বিষয়টি জানতে পারলে লোক-লজ্জার ভয়ে কিছু বলিনি আমার মাকে সাথে নিয়ে ফতুল্লা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি মামলা নং ৩৪/৩৪৫। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান, হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে ধর্ষণ মামলার আসামি মনির আল-সাবা আবাসিক এলাকায় প্রকাশে মাদক ব্যবসা করে এবং ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের শেল্টার দাতা। একাধিক মেয়ের জীবন নষ্ট করে হর-হামেসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।