ফতুল্লার শান্তিধারা গিরিধারা এলাকায় বাসাবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথসহ গেইটে আওয়ামীলীগ নেতা রাজ্জাক বেপারী পশুর হাট বসানোয় চরম দূর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার এলাকাবাসী। গত এক সপ্তাহ যাবত এ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের।
জানাযায়, গত ২২ জুন ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের শান্তিধারা এলাকায় মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে হাজী আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর মার্কেট সংলগ্ন খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ থেকে দেয়া হয়। শান্তিধারা ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বেপারী ২ লাখ ৯০ হাজার টাকায় ইজারা গ্রহন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর মার্কেট সংলগ্ন কোন খালি জায়গা নেই। অথচ উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতি বছর একই স্থান দেখিয়ে মসজিদের উন্নয়নের নামে পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়। এ হাট থেকে কয়েক কোটি টাকা আয় হলেও তা নামে মাত্র মসজিদে কিছু দিয়ে পুরো টাকাই রাজ্জাক বেপারী দলবল নিয়ে আত্মসাত করেন।
একই সাথে রাজ্জাক বেপারী এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মারাত্মক হয়রানী করেন। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, শান্তিধারা ও গিরিধারা এলাকার বাসা বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গলি সড়ক দখল করে বিশাল বড় হাট বসায়। তার এ হাটের জন্য ঈদের অন্তত ১০/১২ দিন আগেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখতে হয়।
বাসা বাড়ি থেকে শিশুদের বাহিরে বের হওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। বাজার হাতে বা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে আবার গরুর সামনে দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাসায় প্রবেশ করতে হয়।
রাজ্জাক বেপারীর বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা কেউ টুশব্দ করতে পারেন না। কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তার ভাতিজা ভয়ংকর সন্ত্রাসী সুরুজ বেপারী ওরফে কিলার সুরুজ দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এতে ওই এলাকায় বসবাস করা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে রাজ্জাক বেপারী বলেন, সমস্যার বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। আর হাট কয়েকদিন থাকে এজন্য একটু সমস্যা হতেই পারে। যারা হাটে দায়ীত্ব পালন করেন তাদের খরচ দিতে হয়। তাই আয় ব্যয় শেষে যা থাকে তা মসজিদে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মোঃ রিফাত ফেরদৌস বলেন, সর্বচ্চো দরদাতা হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক বেপারী অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা পেয়েছে। নির্ধারিত স্থানে হাট না বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।