ঈদের ১০ দিন আগে শ্রমিকের জুন মাসের বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) বিকাল ৫ টায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট ফতুল্লা থানা শাখার উদ্যোগে শিবু মার্কেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আশেকে রাসুল শাওনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, ফতুল্লা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য রোহান, মনির হোসেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে ঈদ নিয়ে শ্রমিকের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঈদ আসলেই কেবল ভাবতে পারে পরিবার পরিজনের জন্য কিছু ভাল খাবার ও কিছু জামা কাপড় কেনার। এমনিতেই শ্রমিকের মজুরি কম।
তাই গার্মেন্টসে শ্রমিকরা ঈদের আগে অতিরিক্ত কাজ করে তাদের আয় বাড়ানোর জন্য। কিন্তু মালিকরা ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে বেতন বোনাস পরিশোধ নিয়ে সংকট তৈরি করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেয়া হয়।
অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশে বৈদেশিক মূদ্রা আসে সেই শ্রমিককে কোথাও বেসিকের অর্ধেক বোনাস, কোথাও নাম মাত্র বকশিশ দেয়া হয়। অনেক কারখানায় সেটাও দেয়া হয় না। মালিকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের মাঝে বিক্ষোভ তৈরি হয়। শিল্প এলাকাগুলোতে শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ২৯ জুন ঈদ-উল-আযহা হবে। ঈদের আগে শ্রমিকের জুন মাসের চলতি বেতন পাওয়া ন্যায্য। শ্রমিকদের বেতন বোনাস ঈদের শেষ মুহুর্তে দিলে শ্রমিক বাড়ি যাওয়ার তাড়ায় ভালো করে কেনাকাটা করতে পারে না।
ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে শ্রমিকের পূর্ণ বোনাস ও জুনের চলতি বেতন পরিশোধ করতে হবে। বেতন বোনাস নিয়ে মালিকের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তারজন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ ও বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন শ্রমিক ছাঁটাই না করার দাবি জানান।