ফতুল্লার ভোলাইলে তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী নুপুুর আক্তার (২৮) কে গলা কেটে হত্যার চেস্টার অভিযোগে স্বামী মো. কাদেও (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মো. কাদের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বালিদিয়ার মৃত মোজাম মোল্লার পুত্র। সে স্ত্রী সহ ফতুল্লা থানার উত্তর ভোলাইলের নাছিরের বাড়ীতে ভাড়ায় স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছিলো।
এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে ঘটনার শিকার নুপুর আক্তারের মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদীর মেয়ে নুপুর আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী গ্রেপ্তারকৃত কাদের।অপরদিকে নুপুর আক্তার ও কাদেরের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিগত আট বছর পূ্র্েব নুপুর আক্তারের গ্রামের বাড়ী পটুয়াখালীতে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। পাঁচ বছর পূর্বে সে সংসারে বিচ্ছেদ হয়।
সে সংসারে এখলাছ নামের ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর নুপুর আক্তার তার ছেলেকে গ্রামের বাড়ীতে বাদীর নিকট রেখে ফতুল্লায় এসে বিসিকে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। চার বছর পূর্বে পরিচয় হয় ভোলাইলস্থ সেলুনে কাজ করা যুবক মোঃ কাদেরের সাথে।
সেই সুবাদে সম্পর্ক গড়ে উঠে এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সেলুন ব্যবসা করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে আসছিলো। নুপুর আক্তার তার উপার্জন থেকে কাদের কে দুই লাখ টাকা ও প্রদান করে।
পরবর্তীতে আরো তিন লাখ টাকা দাবী করে প্রায় সময় মারধর করতো।এরই ধারাবহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবগাত রাত তিনটার দিকে গ্রেপ্তারকৃত কাদের সাথে থাকা ক্ষুর দিয়ে বাদীর মেয়েকে গলায় ও বুকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার চেস্টা করে।
বিষয়টি আশপাকের লোকজন টের পেয়ে এগিয়ে এসে রক্তাক্তবস্থায় নুপুর কে উদ্ধার কর প্রথমে নারায়ণগঞ্জ পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন জানায়,মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামী কাদের কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।