ফতুল্লার শিয়াচরে দুই কিশোরী মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে সৎ বাবা মো. সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মো. সবুজ মিয়া (৩৮) কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর আকনপাড়া রামনাছড়ার মো. সাইফুর রহমানের পুত্র ও ফতুল্লা মডেল থানার শিয়াচর মনির হোসেনের ভাড়াটিয়া। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে তাকে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দুই কিশোরীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মিয়া অভিযুক্ত করে দুই মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৮ বৎসর পূর্বে বাদীর প্রথম স্বামী মোফাজ্জল হোসেনের সাথ বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয়। সে সংসারে ১৬ বছরের ও ১২ বছরের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
পরবর্তীতে সে বিচ্ছেদের এক বছর পর গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মিয়াকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে শিয়াচর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে স্থানীয় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করে আসছিলো।
অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মিয়া একটি ছাপা কারখানায় কাজ করে আসছিলো। নির্যাতিত কিশোরী মেয়ে দুটি তাদের আত্নীয় স্বজনদের বাসায় বসবাস করতো। রোজার মধ্যে তারা মায়ের নিকট চলে আসে এবং একই বাসায় বসবাস করে আসছিলো।
২৮ মে সকাল ১০ টার দিকে বাদীর বড় মেয়ে রান্নার কাজে রান্না ঘরে ব্যস্ত থাকায় ঘরে একা পেয়ে গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মিয়া জোরপূর্বক ছোট মেয়ে (১২)কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করে। এসময় বাদী নিজ কর্মস্থলে ছিলো।
একই কায়দায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে দ্বিতীয় দফায় আবারো বাদীর ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মিয়া। বাদী কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে এলে তাকে ছোট মেয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়।
পরে তার বড় মেয়ে তাকে জানায় ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৩ ও ২৪ মে রাত ১১ টার দিকে ঘুমিয়ে থাকার সময় জোড়পূর্বক পরপর দুই রাতেই ঘরের ভিতরে তাকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, কিশোরী দুই বোনকে কয়েক দিনের ব্যবধানে একাধিকবার ধর্ষন করে তাদেরই সৎ বাবা।
সোমবার রাতে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত সৎ বাবা কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত সৎ বাবা ধর্ষনের কথা স্বীকার করছে। এ বিষয়ে পৃথক পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।