সোনারগাঁয়ে গৃহবধু মৌসুমী আক্তার (২৪) হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।
মুলত স্বামীর পরকিয়ার জেরেই খুন হয় গৃহবধু মৌসুমী আক্তার। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ডাকাতির নাটক সাজায় তার স্বামী শরিফুল ইসলাম রাসেল। মঙ্গলবার (২৩ মে) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে হত্যাকান্ডে ধৃত স্বামীর দুই সহযোগী আরজু (৩৫) ও রাজীব হোসেন (২৯) কে রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী শরিফুল ইসলাম আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম জানান, ১০ বছর পূর্বে শরিফুল ইসলামের সাথে মৌসুমী আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানও জন্ম হয়। স্বামী শরিফুল ইসলামের সাথে বিভিন্ন মেয়ের অবৈধ সম্পর্কে থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ এ নিয়ে মৌসুমী প্রতিবাদ করে।
এরই জেরে গত ১৯ এপ্রিল মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে মৌসুমীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় রাজিব। কেনাকাটা শেষ করে রাত ৯টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তারা।
পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি সিলভার কালার হায়েস নিয়ে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের হিংলাব এলাকায় অপেক্ষা করছিলো রাজিবের দুই সহযোগী আরজু ও রাজিব।
ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মৌসুমীকে গাড়িতে উঠিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে তারা তিনজন। পরে নিজ শরীরে আঘাত করে ডাকাতির নাটক সাজায় স্বামী শরিফুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।