ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পাশেই বিভিন্ন যাত্রীবাহী পরিবহনে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজী। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এর প্রতিবাদে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কাঁচপুর এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ী ব্যারিকেড দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পরে যাত্রী সাধারণ।
খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (টিআই) ইব্রাহিম ঘটনাস্থলে এসে পরিবহন শ্রমিকদেরকে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়কের ব্যারিকেড ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন যাত্রী পরিবহন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর অতিক্রম করার সময় কাঁচপুর হাইওয়ে থানা সামনে চাঁদাবাজরা বিভিন্ন গাড়ী থেকে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলনের সময় পরিবহন শ্রমিকদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়।
এসময় চাঁদাবাজরা শ্রমিকদেরকে মারধর করার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা মহাসড়কে গাড়ী ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-২৩০২) এর ব্যানারে কাঁচপুর স্ট্যান্ডের সিলেটগামী লেন এবং চট্টগ্রামগামী লেনে দীর্ঘদিন ধরে পৃথকভাবে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করে আসছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (রেজি: নং-১৭২৪) অর্ন্তভুক্ত নারায়ণগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-২৩০২) এর সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়ন শাখার ব্যানারে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দু’টি স্পটে দেশের উত্তর পুর্বাঞ্চল এবং দক্ষিন পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন যাত্রী পরিবহন থেকে রশিদের মাধ্যমে ৫০ টাকা করে প্রকাশ্যে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করছে ওই সংগঠনটি।
আর এ চাঁদাবাজীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জিয়া নামে এক চাঁদাবাজ। তার নেতৃত্বে প্রতিদিন কাঁচপুর এলাকায় দু’টি স্পটে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এ চাঁদা উত্তোলন করা হয়। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে মারধর করা হয় এমনকি গাড়ী পর্যন্ত আটক করে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (টিআই) ইব্রাহিম জানায়, তিশা পরিবহনের একটি বাস কাঁচপুর থেকে যাত্রী উঠানোর সময় কে বা কারা ৫০ টাকা চাঁদা দাবী করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ীর লোকজনকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে গাড়ি সড়িয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আমরা চাঁদাবাজদের বিষয়ে নজর রাখছি। হাতে-নাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।