বন্দরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জের ধরে রাবেয়া আক্তার ওরফে মারিয়া (২৬) নামে এক গৃহবধূকে শ্লীতাহানী করে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন পর অবশেষে বিজ্ঞ আদালতের র্নিদেশে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে গত সোমবার (৮ মে) রাতে সন্ত্রাসী রাজু আহাম্মেদ ওরফে স্ট্যান্ড রাজুসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে। মামলার পিটিশন সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার নাদিম মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার মারিয়া বেগম দীর্ঘ দিন ধরে স্বামী সন্তান নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় বসবাস করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বন্দর থানিাধীন নূরবাগ কলোনী এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম পাতলা মিয়ার ছেলে স্থানীয় বখাটে সন্ত্রাসী রাজু আহাম্মেদ ওরফে স্ট্যান্ড রাজু বেশ কিছু ধরে মামলার বাদিনীকে বিভিন্ন ভাবে উক্ত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ ইজ্জত সম্মনের ভয় কুপ্রস্তাবের বিষয়টি গোপন রাখে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাড়িতে একা অবস্থান করছিল।
ওই সুযোগে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বখাটে সন্ত্রাসী স্ট্যান্ড রাজুসহ রুপালী জন্ডিস গলি এলাকার আকরাম মিয়ার ছেলে নীরব রুপলী মাদ্রাসা গলি এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে শুভ একই এলাকার জাভেদ মিয়ার ছেলে আল আমিন সোনাকান্দা এলাকার নিগার বেগমের ছেলে পিয়েল ও একই এলাকার ইসলামসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী অনাধিকার ভাবে ভুক্তভোগীর বসত ঘরে প্রবেশ করে।
ওই সময় স্ট্যান্ড রাজু গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিলে বাদিনী উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী স্ট্যান্ড রাজুকে গালমন্দ করে। এতে সন্ত্রাসীরা গৃহবধু ও তার স্বামীকে বেদম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে প্রায় ১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন (৩৭ দিন) পর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে বন্দর থানায় মামলা দায়ের হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি।