ফতুল্লায় স্বামীর নির্যাতনের কবল থেকে রক্ষা পেতে বাথরুমের টাওয়ালের স্ট্যান্ডের সাথে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে সুমাইয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহত গৃহবধূর স্বামী মোঃ মাহিম (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার ঢাকার রুপনগর থানার আরিফাবাদ ছায়ানগরের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনে মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ মহিম হোসেন পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানার টঙ্গিবাড়ী চরগঙ্গার মৃত আমির উদ্দিনের পুত্র।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারকৃত মহিন কে অভিযুক্ত করে শুক্রবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়,প্রায় দেড় বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মত্তিক্রমে বাদীর বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে গ্রেফতারকৃত মহিমের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর মাসদাইর ডেনিসন গলি বাবুল মিয়ার ৫ম তলার দক্ষিণ পূর্ব কোনের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস সহ মহিম স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করে আসছিলো । বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে বাদীর মেয়ে কে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিলো।
অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি নিহত সুমাইয়া তার পরিবারের সদস্যদের কে অবগত করে। এতে বাদী গ্রেফতারকৃত মহিম কে বুজিয়ে ও বলে এবং শারিরীক নির্যাতন না করার অনুরোধ ও করে।
তবু ও মহিম বাদীর মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিলো। বৃহস্পতিবার দিবাগত (১৪ এপ্রিল) রাত একটার দিকে রিয়াজ নামক এক ভাড়াটিয়া বাদী কে ফোন করে বলে যে সুমাইয়া বাথরুমের ভিতর গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
বাদী তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে যে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিহতের সাথে গ্রেফতারকৃত মহিমের পারিবারিক বিষয় নিয়া ঝগড়া বিবাদ কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে মহিম নিহত সুমাইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ চড়- থাপ্পড় মারে এবং বাসা হতে বের হয়ে যেতে বলে।
মহিম বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নিহত সুমাইয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে যায় যে পুনরায় বাসায় এসে যদি তাকে দেখতে পায় তাহলে আবারো মারধর করা হবে। পুনরায় নির্যাতনের ভয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পর থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে যে কোন সময় নিহত সুমাইয়া বাথরুমের টাওয়ালের স্ট্যান্ডের সাথে পরিধেয় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে।
এ বিষয়ে মামলাী তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক জানায়,নিহত গৃহবধুর বাবা বাদী হয়ে আত্নহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহতের স্বামীকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছ। অভিযুক্ত আসামী মহিম কে গ্রেফতার করা হয়েছে।