সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও ইকোনোমিক জোন, পিরোজপুর ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদের আগে পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে বিক্ষোভে অংশ নেয় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভকারী আহত অটোরিকশা চালক মো. রাসেল বলেন, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশকে মাসিক ১৫০০ টাকা চাঁদা দিয়ে সিএনজি চালানোর অনুমতি পেলে আমরা কেন অটোরিকশা চালানোর অনুমতি পাবো না? ৩ দিন আগে আমার অটোরিকশা আটক করতে আসলে আমি অটোরিকশাসহ রাস্তার নিচে পরে গিয়ে আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
অটোরিকশার মালিক রবিউল ইসলাম রবি অভিযোগ করে বলেন, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ প্রায় সময় অভিযানের নামে ব্যাটারিচালিত ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটক করে। পরে ৩-৪ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়। অনেক সময় একই গাড়ি দিনে দুইবার ধরে।
এছাড়া গাড়ির চালকদের নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সম্প্রতি পিরোজপুর এলাকায় জনতার সাথে পুলিশের হামলার ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা জামান মিয়া বলেন, আমরা পিরোজপুর, নাগেরগাঁও, জৈনপুর, মৃধাকান্দি, ছয়হিস্যা, কান্দারগাঁও, রতনপুর, ঝাউচর, ইসলামপুর, আষাঢ়িয়ারচর ও নাগেরগাঁও সহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ দৈনন্দিন জরুরি চিকিৎসা, খাদ্য ও অন্যান্য কাজে মহাসড়কটি ব্যবহার করতে হয়।
এই রাস্তায় অটোরিকশা, সিএনজি ও থ্রি-হুইলার চলাচলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হবে।
পুলিশের এসব অনিয়মের প্রতিবাদে সিএনজি ও অটো চালকরা মহাড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে স্থানীয় সাংবাদিক সহায়তায় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান বিক্ষোভকারীদের কে ঈদের আগে এই রাস্তায় অবৈধ অটোরিকশা চলাচলে বাঁধা না দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (টিআই) মো. ইব্রাহীম মাসিক চাঁদা ও অবৈধ অটোরিকশা আটক করে আর্থিক সুবিধা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও পিরোজপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি ও অটোচালকরা মারামারি করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গিয়ে তা সমাধান করেন। যদি কেউ অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে”।