আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বন্দর বাজার টু বন্দর ১নং খেয়াঘাটের ব্যস্ততম সড়কটি হকারদের দখলে রয়েছে। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সড়কের যানজট তীব্র হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দর ১নং খেয়াঘাটের কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দৈনিক চাঁদা ভিত্তিতে এখানকার হকাররা দীর্ঘ দিন ধরে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এদিকে সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, হকাররা বন্দরে ১নং খেয়াঘাট থেকে শুরু করে বন্দর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ র্কাযালয় পর্যন্ত প্রধান সড়ক দখল করে বিভিন্ন পসরা বসিয়ে র্তীব্র যানযট সৃষ্টি করে সাধারন জনগনের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে।
বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চরম উদাসিনতার কারনে প্রতিনিয়ত মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওই পথে চলাচলরত নগরবাসীসহ সাধারন জনগন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দর ১নং খেয়াঘাট থেকে শুরু করে বন্দর বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের অধিকাংশ রাস্তা দখল করে বিভিন্ন পসড়া সাজিয়ে বসে আছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে বন্দর চৌধূরীবাড়ি এলাকার এক বাসিন্দা জনৈক আরিফ জানান, বন্দর ১নং খেয়াঘাট হলো বন্দরবাসী প্রানকেন্দ্র। এই ঘাট দিয়ে বন্দরে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় লক্ষাধীক সাধারন মানুষ নারায়ণগঞ্জের সাথে যোগাযোগ রাখতে এই ঘাট দিয়ে শহরমুখী হয়।
সকালে বলেন বা দুপুরে বলেন এমনকি রাতে বলেন বন্দর ১নং খেয়াঘাট টু বন্দর বাজারে অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠার কারনে এই রুটে যানযট র্তীব্র আকার ধারন করেছে।
অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠার পাশাপাশি সিএনজি, অটো ইজিবাইক, মিশুক ও অটোরিক্সা এলোমেল করে রাখার কারনে দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হয়ে মাহে রমজান মাসে রোজাদাররা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এগুলো দেখার কি কেউ নেই?
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হকার বলেন, প্রতিদিন ১২০ টাকা দিয়ে দোকান করি। মাগনা না ভাই। এখানে সকল হকারদের যা হবে আমারও তা হবে। কাকে ১২০ টাকা দিতে হয় হকারের কাছে জানাতে চাইলে সে গনমাধ্যমকে জানাতে অপরগতা প্রকাশ করে।
বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এ. কুদরত এ খুদা বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বন্দর ১নং খেয়াঘাটের প্রধান রাস্তার পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।