ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে বন্দরে এক হোসিয়ারী নারী শ্রমিক (১৯) কে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে গণধর্ষনের ঘটনায় ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার উত্তর রুপালী আবাসিক এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে লম্পট প্রেমিক কামরুল ইসলাম জামান (৩০) সোনাকান্দা সোনাবিবি রোড এলাকার মৃত হারুন চৌধুরী ছেলে ইমন (২৪) ও রুপারী আবাসিক এলাকার আব্দু সালাম মিয়ার ছেলে মোঃ হাসান (২৪)।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৯টার মধ্যে বন্দর উপজেলার মোল্লাবাড়ীস্থ জনৈক রহমত মোল্লার বাড়ীতে ওই হোসিয়ারী নারী শ্রমিক গণধর্ষনের শিকার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক বাদী হয়ে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৩ ধর্ষকের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৭(২)২২।
গ্রেপ্তারকৃত ৩ ধর্ষককে ওই মামলায় বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। একই সাথে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরিক্ষা জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ভাড়াটিয়া বাসিন্দা নারী হোসিয়ারী শ্রমিক (১৯) শহরের নয়ামাটি এলাকায় একটি হোসিয়ারীতে দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিকের কাজ করে আসছে।
বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়ার সুবাদে বন্দর উত্তর রুপারী আবাসিক এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম জামানের সাথে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দুপুর ২টায় প্রেমিক কামরুল ইসলাম জামান তার প্রেমিকা হোসিয়ারী শ্রমিক (১৯) কে বেড়ানোর কথা বলে বন্দর উপজেলার মোল্লাবাড়ীস্থ জনৈক রহমত মোল্লার বাড়ীতে নিয়ে আসে।
পরে দুপুর আড়াইটায় সময় লম্পট প্রেমিক বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে উল্লেখিত হোসিয়ারী নারী শ্রমিককে ধর্ষন করে সোনাকান্দা এলাকার মৃত হারুন চৌধুরী ছেলে ইমন ও রুপালী আবাসিক এলাকার আব্দুল সালাম মিয়ার ছেলে হাসানের কাছে রেখে লম্পট প্রেমিক পালিয়ে যায়। পরবর্তি সময়ে রাত ৯টায় লম্পট প্রেমিক জামানের বন্ধু ইমন ও হাসান ভ’ক্তভোগী ধর্ষিতা হোসিয়ারীয় শ্রমিককে আবারও ইিচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভ’ক্তভোগী ধর্ষিতা বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল আলমসহ সঙ্গীয় র্ফোস ঘটনার ওই রাতে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।