নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহ আল মনছুর হত্যা মামলার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাও উদ্ধার করা হয়।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মঞ্জুর হোসেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বায়েচর গ্রামের বাসিন্দা। অপর আসামি রমজান আলী ছিনতাইকৃত অটোরিকশা কেনা-বেচায় জড়িত। তিনি ভৈরবদী গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ স্কোয়াড্রন লীডার (উপপরিচালক) একেএম মুনিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পশ্চিম পাড়া থেকে অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহ আল মনছুর নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি তার মা ছেমনা খাতুন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁওয়ের বেইলর এলাকার একটি ডোবা থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মূল পরিকল্পনাকারী মঞ্জুর হোসেনসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন আব্দুল্লাহর মা। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে মূল পরিকল্পনাকারী মঞ্জুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আড়াইহাজারের কাদিরদিয়া থেকে রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আব্দুল্লাহর অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।