সদর উপজেলার ফতুল্লায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামালা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। শুক্রবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া খোদাই বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দেলপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ি রোড এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম শরীফ (৩৯) বাদী হয়ে দেলপাড়া খোদাই বাড়ী মহল্লার রাজ্জাকের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার মানিক (২৮), নাছির মিয়ার ছেলে জিসান (২৭), নজরুলের ছেলে মিজান (২৬), মোতালেব মোল্লার ছেলে মৃদুল মোল্লা (২৫), কাঞ্চন মিয়ার ছেলে হাসান (২৫), সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী রাকিবুল ইসলাম শরীফের ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম (৩৪) উল্লেখিত ঠিকানায় একটি মোবাইল, বিকাশ, ফ্ল্যাক্সিলোড ও সিসি ক্যামেরার দোকান চালিয়ে আসছিলো। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দোকানের সামনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে।
একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাহার জীবন রক্ষার্থে দোকানের মধ্যে প্রবেশ করিলে, বিবাদীরা বে-আইনীভাবে হাতে চাপাতি, রামদা, লোহার রড, লাঠি সোডা, কাঠের ভাসা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে এলোপাথাডী ভাবে মারধর শুরু করে।
তখন বাদীর ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম তাদের বাধা নিষেধ করিলে বিবাদী মানিক ও জিসান দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ৩টি টাচ মোবাইল সেট, ১০টি সিসি ক্যামেরা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাদীর ছোট ভাই বাধা নিষেধ করিলে তাকেও এলোপাথাড়ী মারধর করে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে বাদীর চাচাতো ভাই মো. আসলাম মিয়া (৩২) এসে বাধা নিষেধ করিলে তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মানিকের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাহার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে বাদী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। গুরুতর আহত আসলাম নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) পলাশ কান্তি জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।