সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক চিটাগাংরোডে মামলার ভয় দেখিয়ে অটোরিকশা চালক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের রেকারের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সিরাজ এর বিরুদ্ধে।
এসব অনৈতিক অর্থ আদায় করতে ওই কনেস্টবল নিয়োগ দিয়েছেন রায়হান নামে এক শিশুকে। এনিয়ে কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিটাগাং রোডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে একটি অটোরিক্সা আটক করে চালককে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেয় সিরাজের নিয়োজিত ওই শিশু।
প্রথমে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর শিশুটি স্বীকার করে। এসময় এগিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। তিনি নিজের নাম সিরাজ বলে জানান। বিস্তারিত পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল পরিচয় দেন এবং রেকারের দায়িত্বে আছেন বলে জানান।
অটোরিক্সা থেকে টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। পরে শিশুটির কথা বললে তিনি বলেন মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে তাকে রাখা হয়েছে। তার কাজ শুধু অটোরিক্সা ধরা। টাকা নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে কোন রকম সদুত্তোর দিতে পারেননি সিরাজ।
সিরাজকে দেখার পর বালকটি বলতে থাকে তার পকেটে জোর করে অটোরিক্সা চালক টাকা দিয়ে চলে গেছে। বালকটি তাঁর নাম রায়হান পরিচয় দেয় এবং তার বাসা কাঁচপুর।
নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে অন্য লোক দিয়ে অটোরিক্সা থেকে চাঁদাবাজি করছে সিরাজরা। এভাবে চলতে থাকলে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠবে পুলিশের নিয়োজিত সোর্সরা।
অন্যদিকে মহাসড়কে নিয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। তাই এসব অনিয়ম বন্ধে দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।