সৎ মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘর ছাড়া নয় বছরের শিশু সোহাগকে কুঁড়িয়ে পেয়ে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক এইচ এম মাহমুদ। নিখোঁজ ঘটনার ৩ দিন পর রোববার (২৯ জানুয়ারী) সকালে কুড়িয়ে পাওয়া ৯ বছরের শিশু সোহাগকে তার পিতা মমিনুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বন্দর থানার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দরে লাঙ্গলবন্ধ বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। এ ব্যাপারে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক এইচ এম মাহমুদ জানান, কুঁড়িয়ে পাওয়া শিশু সোহাগের পিতা মমিনুল ইসলাম সুদূর রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার মহেশমুড়ি এলাকার বাসিন্দা।
সে বর্তমানে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার ভাটেরচর বড়কান্দি এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ২য় স্ত্রী ও তার সৎ মা তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। সৎ মায়ের নির্যাতন সইতে না পেরে শিশু সোহাগ অজানার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
২৮ জানুয়ারী শনিবার রাত ১০টার দিকে শিশু সোহাগ লাঙ্গলবন্ধ বাসস্ট্যান্ডে পাশে এক চায়ের দোকানে কান্নাকাটি করছিল। ওই সময় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রর টহল দলের নজরে পরলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজ র্বাতাটি ভাইরাল করে।
পরে নিখোঁজ শিশুটির পিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে আসলে ওই সময় আমরা কুঁড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।