নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৩ নভেম্বর ২০২৪

বন্দরে অটোচালক মাছুম হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:৫৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

বন্দরে অটোচালক মাছুম হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার 

অবশেষে বন্দরে অটো চালক মাছুম হালাদারের লাশ উদ্ধারের দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন অতবাহিত হওয়ার পর হত্যাকান্ডে ক্লো উদঘাটনসহ হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী সালাউদ্দিন ওরফে সনি (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব -১১। 


গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ডিআইট মসজিদ এলাকা থেকে ওই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন ওরফে সনি বন্দর থানার কুমারপাড়া এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে । 


বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১১ সিপিসি-১  নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর কোম্পানী কমান্ডার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার একেএম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ৫ নভেম্বর বন্দর থানার খানবাড়ী মোড় এলাকা হতে অটোচালক মাসুম হাওলাদার নিখোঁজ হয়।

 

নিখোঁজের দুই দিন পর ৭ নভেম্বর বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকা হতে অটো চালকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত অটো চালকের স্ত্রী শিরিন বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। 


এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহসহ উক্ত হত্যা মামলার অজ্ঞাত নামা আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর বুধবার রাতে র‌্যাব-১১ সিপিএসসি ও সিপিসি-১ কোম্পানীর যৌথ অভিযানে মূল পরিকল্পনাকারী সালাউদ্দিন ওরফে সানীকে শহরের ডিআইট মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


র‌্যাব-১১ আরো জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত মাছুম পেশায় একজন অটোচালক। তার স্ত্রী ধৃত আসামীর হোশিয়ারীতে কাপড় প্রসেসিং এর কাজ নেয় মাস কয়েক পূর্বে। কাজের সুবাদে সনির সাথে মাছুমের স্ত্রী পরিচয় হয়। এবং অল্প কিছু সময়ের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের সম্পর্ক মাস তিনেক যেতেই বিষয়টি জানাজানি হয। 


পরবর্তিতে মাছুম তার স্ত্রীকে কাজে যেত নিষেধ করেন। এবং এ নিয়ে মাছুম ও তার স্ত্রী মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। সনির হুসিয়ারিতে মাছুমের স্ত্রী শিরিনা বেগম কাজ বন্ধ করে দিলে সনি মাছুমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং মাছুমকে নানা ভাবে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে সনি মাছুমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সে কাজে তার অপর সহযোগী রানাকে কাজে লাগায়। পেশায় রানাও একজন অটোচালক। 


নিখোঁজের দিন রানা মাছুমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। মাছুম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রানা ও সনি মোবাইল ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগ রক্ষা করছিল এবং যে দিন লাশ পাওয়া যায় সেদিন রানা ও সনি একসাথে আত্মগোপনে চলে যায়এবং তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সালাউদ্দিন ওরফে সনি উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। উক্ত আসামীকে বন্দর থানা মঅটোচালক মাছুম হাওলাদার হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। সে সাথে হত্যাকান্ডের জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জে তৎপর রয়েছে।