নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৩ নভেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ, গৃহবধূর মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৮:৩৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ, গৃহবধূর মৃত্যু

ডান পাশে গ্যাসের বিস্ফোরণে ভেংগে যাওয়া ঘরের দরজা জানালা ও আসবাবপত্র। বাম পাশে নিহত গৃহবধু আফরোজা আক্তার।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাড়িতে জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- মো. জসিম (৪৫), তার স্ত্রী গৃহবধু আফরোজা আক্তার (৩৮), মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) ও শিশু ছেলে জুনায়েদ (৭)। 


এদের মধ্যে আফরোজা আক্তার সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে  পাঁচটার দিকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। 


এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল ইউনিয়নের উত্তর ধনকুন্ডা এলাকায় স্থানীয় নাজমুল মিয়ার বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 


দগ্ধদের মধ্যে নিহত আফরোজার স্বামী দগ্ধ মো. জসিম (৪৫) ও মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) সেখানে আইসিউতে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দগ্ধ জসিমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। 


আগুনে চিকিৎসাধিন জসীম উদ্দিনের শরীরের ৬৫ শতাংশ, মেয়ে জয়ার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয় । শিশু জুনায়াদের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


নিহত আফরোজার বাবা আব্দুর রব জানান, নাজমুল মিয়ার তিন তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যটে আফরোজা, তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আফরোজার স্বামী জসিম হানিফ পরিবহনের বাসচালক। মেয়ে জয়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। 


আফরোজার বড় ভাই মফিজ প্রধান জানান, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্বামীর জন্য রান্নার করতে উঠেন আফরোজা। রান্নাঘরে গিয়ে চূলা জ্বালাতে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতেই রুমের ভেতর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘরের দরজা জানালা ভেংগে যায়। 


এতে আফরোজার পুরো শরীর এবং ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। 


সেখান থেকে তাদেরকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। 


তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতে সবাই ঘুমানোর আগে রান্নাঘরে চূলার চাবি দেয়া ছিল। এতে সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে চূলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালে সেখান থেকেই ঘরের ভেতর জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। 


ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।