সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ভাঙ্গারপুল ডিএনডি সেচ খাল দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে স্থানীয় মাদকের ডিলাররা। বিনোদনের জন্য সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই খাল দখল চক্রের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ডিএনডির সেচ খালটি সৌন্দর্যবর্ধন করে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলতে দুই ভাগে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। খালটি পুনঃখনন, দৃষ্টিনন্দন ছয়টি সেতু, বিনোদন মঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
জাইকার অর্থায়নে সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে মেসার্স উদয়ন বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির কাজ পেয়েছেন। তবে কাজ করছেন একাধিক সাব ঠিকাদাররা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প কাজ শেষ হওয়ার আগেই নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া ভাঙ্গারপুল এলাকায় ডিএনডি সেচ খালের প্রায় এক কিলোমিটার দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে জয়নাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত জয়নাল ও তার বাহিনী খালটি দখল করেন।
খালে মাছ চাষ করার ফলে দূষিত হচ্ছে পানি। নষ্ট করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে ও গাছপালা। মাছ পাহারার নামে শীর্ষ মাদকের ডিলার জয়নাল বাহিনী ওয়াকওয়ের ভিতরে নিশ্চিন্তে মাদক বিক্রি করছে। মাদক ব্যবসা চাঙ্গা করার জন্য সেচখালের পশ্চিমপাশে লেকপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা দখল করে তৈরি করেছে বাগানবাড়ী।
এর চার পাশে বাঁশের নকঁশি করা বেড়া দিয়ে ভিতরে একটি ঘর নির্মাণ ও বসার আসন বানানো হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই বাগানবাড়ীতে চলে মাদক বিক্রি, বসে মাদক সেবনের আসর।
দিন রাত বেশিরভাগ সময় বাগানবাড়ীতে আড্ডা দেয় জামান, টাইগার বাবু, বাপ্পি, ইয়াছিন, আলামিন, প্রান্ত, তহিদ, জনি ও মামা শাহিনসহ একটি কিশোরগ্যাং বাহিনী। ফলে ভয়ে কেহ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিনে গিয়ে, খাল দখল করে মাছ চাষের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাগানবাড়ীটিও তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ আর বাগানবাড়ীতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছেন জয়নাল।
সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল বলেন মাছ ছেড়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপন। আমি দেখা শোনা করি। বাগানবাড়ী বিষয়ে বলেন অল্পকয়দিন হয় ঘর নির্মাণ করেছি। এখানে মাদক বেচা কিনা হয়না।
নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপনকে একাধিকবার ফোন দিলে রিং হলেও রিসিভ করেননি।
মাদক ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।