বন্দরে স্বামীর দাবিকৃত ২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে ব্যার্থ হওয়ার জের ধরে ১ সন্তানের জননী লাবনী (২৫)কে অমানবিক ভাবে পিটিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে যৌতুক লোভী পাষন্ড স্বামী কাউছার এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত গৃহবধূ লাবনী আক্তার বাদী হয়ে পাষান্ড যৌতুক লোভী স্বামী কাউছারকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এর আগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলীসারদী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা গুরুত্বর জখম অবস্থায় ভূক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ বছর পূর্বে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকার রাসেল মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের আলীসারদী এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে কাউছারের পারিবারিক ভাবে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের সংসারে উমর কাইয়ুম নীরব নামে ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে গৃহবধূ লাবনী পিতামাতা যৌতুক লোভী স্বামী কাউছার ও তার পরিবারের কাছে নগদ টাকা, আসভাবপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল যৌতুক হিসেবে দেয়।
বিয়ের পর থেকে কাউছার শ^শুড় বাড়ী থেকে মোটা অংকের যৌতুক আনার জন্য ভূক্তভোগী গৃহবধূকে বেদম মারধর করে আসছিল। ভূক্তভোগী গৃহবধূ সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পাষান্ড স্বামীর অমানবিক নির্যাতন সহ্য করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাষান্ড স্বামী কাউছার তার স্ত্রী লাবনী কাছে আবারও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে গৃহবধূ যৌতুক দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় পাষান্ড স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ স্থানীয় ভাবে বিচারে চেয়ে না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাষান্ড যৌতুক লোভী স্বামী কাউছারকে আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।