নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

বন্দরে গণধর্ষণ মামলার আসামি মৃদুলকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:২৯, ১০ নভেম্বর ২০২২

বন্দরে গণধর্ষণ মামলার আসামি মৃদুলকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ

বন্দরে চাঞ্চল্যকর গনধর্ষন মামলার অন্যতম আসামি সালমান শাহী ওরফে মৃদুল (১৯)কে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে  বাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। 


গনধর্ষন মামলার রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামি সালমান শাহী ওরফে মৃদুল শহরের আমলাপাড়া এলাকার শাহআলম ওরফে কইতর শাহআলম মিয়ার ছেলে। ধর্ষক মৃদুল দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর ঝাউতলা এলাকার খোকন মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। 


গত ১৮ অক্টোবর রাতে বন্দর বালুরচর এলাকায় ওই গনধর্ষনের ঘটানাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

 

এ ঘটনায়  র‌্যাব-১১ আদমজী নগরের একটি টিম গত শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় র‌্যাব-১১ আদমজী নগরের একটি টিম  শহরের দেওভোগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী সালমান শাহী ওরফে মৃদুল গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 


এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তছলিম উদ্দিন  গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক মৃদুলকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গত রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত গত মঙ্গলবার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 


এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন জানান ধর্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১ বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার শিউলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থেকে  শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছে আসছে ভূক্তভোগী পোষাক শ্রমিক নারী। 


গত ৩মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে ভূক্তভোগী নারী সাথে তার স্বামীর  ডিভোর্স হয়। একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত। 


এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ডিউটি শেষ করে বন্দর খেয়াঘাট পার হইলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়।

 

সেখানে  কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন,বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। 


জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫শ’ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরোদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।