নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

বন্দরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:০৫, ৭ নভেম্বর ২০২২

বন্দরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার

বন্দরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী সালমান শাহী ওরফে মৃদুল (১৯)কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ আদমজী নগর। গত শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দেওভোগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


গ্রেপ্তারকৃত সালমান শাহী ওরফে মৃদুল শহরের আমলাপাড়া এলাকার শাহআলম ওরফে কইতর শাহআলম মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক মৃদুল দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর ঝাউতলা এলাকার খোকন মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। 


থানা সূত্রে আরো জানা গেছে, র‌্যাব-১১ আদমজী নগরের এসআই পংকজ ঘোষসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের দেওভোগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বন্দরে গনধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী সালমান শাহী ওরফে মৃদুলকে গ্রেপ্তার করে রোববার দুপুরে বন্দর থানায় সোর্পদ করে। 


পরে গনধর্ষন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তছলিম উদ্দিন গ্রেপ্তারকৃত আসামী মৃদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ওই দিন দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে। 


উল্লেখ্য, ১ বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার শিউলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থেকে  শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছে আসছে  ভূক্তভোগী পোষাক শ্রমিক নারী। গত ৩মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে ভূক্তভোগী নারী সাথে তার স্বামীর  ডিভোর্স হয়। 


একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত।

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ডিউটি শেষ করিয়া বন্দর খেয়াঘাট পার হইলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়।


সেখানে  কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন, বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫’শ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। 


পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
 

সম্পর্কিত বিষয়: