নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আলমের অনিয়ম, দূর্নীতির ও পিস্তল প্রদর্শন করে হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৮ ইউপি সদস্য। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের বরাবর চেয়ারম্যান সামসুল আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাহমুদা খানমকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসক।
সংবাদ সম্মেলনে ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রিয়াদ হাসান ফকির (রহিম), মো. রিয়াদ হাসান ফকির (রহিম), উপস্থিত ছিলেন, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রিয়াদ হাসান ফকির (রহিম), ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.জহিরুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম ভুইয়া, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সাকিব হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিনারা (১,২,৩ নং ওয়ার্ড), জায়েদা (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) ও নাছিমা (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড) উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.জহিরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ১% টাকা চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের মধ্যে সঠিকভাবে বন্টন না করে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতাও দেয়া হচ্ছে না। চেয়ারম্যান সামসুল আলম টিসিবির পন্য তার পছন্দের লোকজনের মধ্যে বন্টন করছেন। জন্ম নিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদান, রেজিলেশন বইতে না লিখেই সচিবকে দিয়ে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর করানো হচ্ছে।
এসব কর্মকান্ডের বিরোধীতা করলে ব্যাক্তিগত পিস্তল প্রদর্শন করে ভীতির সৃষ্টি করেন। এমতাবস্থায় তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা বলেন, ১% থেকে প্রকল্প দিয়ে সেই প্রকল্পের কাজ না করে অবৈধ ভাবে টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যন সামসুল আলম। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান।
এব্যাপারে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
পিস্তলের ব্যাপারে তিনি জানান, এটি নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে পিস্তলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।