রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে রয়েছে ৭/৮টি হাসপাতাল ক্লিনিক। আর বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টারসহ বিভিন্ন দোকানপাট।
হাসপাতালের সামনেই এসব বাস কাউন্টারসহ সরবতের দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইকে চলছে প্রচারণার হাক-ডাক। আর এতে হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা শিকার হচ্ছেন শব্দ দূষণের।
মাইকের শব্দ দূষণের কারণে হাসপাতালসহ চার পাশের ব্যবসায়ীরা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে এই চোঙার তান্ডব এ যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ডে আসলেই চোখ রাখলেই দেখা যাবে বাঁশের খুঁটিতে মাইকের চোঙা বাঁধা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে বাজানো হচ্ছে মাইক।
ঠিকমতো শুনতে পান না মোবাইলের রিং টোন। যদি বা ফোন ধরা যায়, গলি খুঁজে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়। টানা শব্দের দাপটে প্রবীণ নাগরিকেরা অসুস্থ বোধ করেন। গাড়ি চালাতেও সমস্যা হয় বলে জানালেন অনেক চালক।
গোলাকান্দাইল বাসিন্দাদের অভিযোগ, শব্দ দূষণের ফলে মানুষ অসহনীয় যন্ত্রণায় ভোগেন। এর থেকে দ্রুত মুক্তি চায় তারা। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার, নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণ শক্তি হারিয়ে যাওয়া, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শব্দ দূষণ এই এলাকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, তা মানছেন পুলিশ কর্তারাও।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফয়সাল হক বলেন, এই এলাকার মাইকের শব্দের বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জেনেছি তবে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।