ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে গাজীপুর রিজিওনের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ যানবাহন ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, ছিনতাই-ডাকাতি, চাঁদাবাজী এবং মাদক পরিবহন প্রতিরোধে কাজে করে যাচ্ছে এই হাইওয়ে থানা পুলিশ।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মহাড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে মহাসড়কে নিষিদ্ধ ত্রি হুইলার, সিএনজি ও অটো রিকশা যান চলাচল না করতে পারে সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন।
এদিকে ওসি নবীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি হাইওয়ে থানার ডাম্পিং থেকে ২০টি গাড়ি সড়িয়ে অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, আমরা এখানে জনগণের জান-মালের হেফাজতের জন্য চাকরি করি। কারো গাড়ী বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করতে আসিনি।
গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের আদেশে গাড়ীর প্রকৃত মালিককে আমরা তার গাড়ি বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে হাইওয়ে পুলিশের ভাবমুর্তিকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাজীপাড়া গ্রামের মো: আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুর নূরের একটি কাভার্ডভ্যান (কুষ্টিয়া-ট-১১-০৬৭০) গত মে মাসের ১১ তারিখে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে গ্যাসের লাইন থেকে আগুন ধরে যায়। পরে পুড়া গাড়িটি জব্দ করে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অধিনস্থ ডাম্পিংয়ে রাখেন পুলিশ।
গাড়ির মালিক আব্দুর নূর জানান, আমি গাড়িটি ফেরত পাওয়ার জন্য গত ৬ অক্টোবর হাইওয়ে পুলিশ, গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করি। পুলিশ সুপার ৯ অক্টোবর আমার গাড়িটি ভাঙ্গারি হিসেবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি নবীর হোসেনকে লিখিতভাবে আদেশ দেন।
পুলিশ সুপারের আদেশ পেয়ে ওসি নবীর হোসেন ১০ অক্টোবর আমাকে গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেন। ওসির অনুমতি পেয়ে আমি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ কেটে একটি ট্রাক (ঝালকাঠি-ট-১১-০১১১) ভাড়া করে নিয়ে যাই।
