একটি মালবাহী ট্রেইলর মাসিক ভাড়া পরিশোধের ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে ট্রেইলরের মালিক মো. ফারুক আলমগীরকে ভাড়া না দিয়ে ট্রেইলরটি আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা ও প্রানণাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চত্রেুর বিরুদ্ধে।
এ চক্রটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ও জিডি দায়েরের পরও তারা কৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্বিঘ্নে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সোনারগাঁও থানা পুলিশের বিচক্ষনতায় ট্রেইলরটি উদ্ধার হলেও ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে প্রতারক চক্রটি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. ফারুক আলমগীর সোনারগাঁ থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান ট্রেইলরটি জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাচাই চলছে।
জানাগেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর ও শিমরাইল এলাকায় বসবাসরত আব্বাস আলী, আশরাফ ইয়াছিন, রাজা মিয়াসহ আরো কয়েকজনে গড়ে উঠা এ চক্রটি বিভিন্ন কৌশলে গাড়ির মালিকদের হয়রানি করছে।
তারা বিভিন্ন পরিবহন একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এদের প্রতারণা শিকার হয়ে সব খুইয়েছেন চিটাগাং রোড ট্রাক টার্মিনালের সামসু, মুকুলসহ আরো ২/৩ জন পরিবহন ব্যবসায়ী।
সোনারগাঁ থানায় জব্দকৃত ট্রেইলরের মালিক মো. ফারুক আলমগীর জানান, ইয়াছিন নামে এক ব্যক্তি তিন বছর পূর্বে তার ৪০ ফুট দৈর্ঘের ট্রেইলরটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার পর কিছুদিন ভাড়া পরিশোধের পর পরবর্তীতে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এবং ট্রেইলরটিও লুকিয়ে রাখে।
এতে ওই ট্রেইলরের মালিক মো. ফারুক আলমগীর ইয়াছিনের কাছে ভাড়া ও ট্রেইলরের জন্য চাপ দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ইয়াছিন ও তার সাথের লোকজন। এ চক্রের আব্বাস ও অন্যানরা তার ট্রেইলরটি লুকিয়ে রাখে। তাকে ভাড়াও দেয়না এবং ট্রেইলটিও ফেরৎ দেয় না। ইতিমধ্যে মো. ফারুক আলমগীর ইয়াছিনের কাছে ছয় লাখ দশ হাজার টাকা পাওনা হয়।
এদিকে ইয়াছিন টাকাও দিচ্ছেনা আবার ট্রেইলটিও সন্ধান না দিয়ে আড়াল হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে গত সোমবার তিনি জানতে পারের কাঁচপুর মেট্রো-সিএনজি পাম্পের গ্যারেজে তার ট্রেইলরটি রয়েছে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ট্রেইলরটি জব্দ করে।
ভুক্তভোগীদের দাবি এ চক্রের সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করলে অন্যসব নীরিহ ব্যবসায়ীরা এদের ফাঁদ থেকে রক্ষা পাবে। তাই তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হউক।