নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মায়ের পরকিয়ার বলি হলো শিশু সন্তান তাওসিফ (১১)। তাকে হত্যার অভিযোগে মা শীলাকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করলেও পালিয়ে যায় পরকীয়া প্রেমিক জুলহাস। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাওসিফ উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকার জামালউদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনায় নিহতের পিতা জামাল উদ্মাদিন বাদী হয়ে শীলা আর তার পরকিয়া প্রেমিক জুলহাসকে আসামী করে বুধবার সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের পিতা জামাল উদ্দিন জানান, প্রায় দেড় বছর আগে তার স্ত্রী শীলা বেগম তার ছোট বোনের জামাই জুলহাসের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে ছেলে তাওসিফকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে শিলা আক্তার জুলহাসের সাথে পার্শ্ববর্তী শিমুলিয়া এলাকার রেজাউল প্রধানের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ তাওসিফের মরদেহ নিয়ে শিলা পাইস্কা হাজির হয়। এসময় সে জানায় তাওসিফ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
পরবর্তিতে এলাকার মানুষ শিশুটির গলায় ও শরিরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পিতা জামালউদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন ধারনা করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর জেরার মুখে শিলা জানান শিশু তাওসিফ গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তাওসিফের পিতা ও পরিবারের লোকজন শিলাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
তাদের দাবি পরকিয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে শিলা ও জুলহাস মিলে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে জুলহাস।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার ( গ-সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, বুধবার সকালে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মা শিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন নিশ্চিত হতে পারবো।