বন্দরে আলোচিত মিশুক চালক ফেরদৌস হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আরও ৪ হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি রকিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফেনী ও রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) মুন্সিগঞ্জ জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত মিশুকটি উদ্ধারসহ আরো ৪ খুনিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জহাজরাদী চাঁনপুর এলাকার সাইফুল কাজী ছেলে শিপলু (২১) একই ইউনিয়নের বুরুন্দী বালতি পাড়া এলাকার সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে রাজিব (৩৩) মুন্সিগঞ্জ জেলার সাংরনজহাওলা পাড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৭) ও লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার চর বংশি এলাকার মৃত শামছুল মাঝির ছেলে ইব্রাহিম মাঝি (৪৩)। যার মামলা নং- ২৪((৯)২২ ।
নিহত মিশুক চালক ফেরেদৌস বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদীস্থ জাহাঙ্গীর নগর এলাকার দিনমজুর নজরুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মদনগঞ্জ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৪ আসামীকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সোমবার আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞা আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যার মামলা নং- ২৪(৯)২২ ধারা- ৩০২/ ৩৪/ ৩৯৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জিবীকার তাগিদে মিশুক চালক ফেরদৌস মিশুক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়। ওই রাতে শিশুক চালক বাসা ফিরে না আসায় মিশুক চালকের দিনমজুর পিতা নজরুল ইসলাম ও মিশুক মালিক মিলে মিশুক চালক ফেরদৌসকে খুঁজতে থাকে।
পরে ১২ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলদী এলাকায় জনৈক মঞ্জু মেম্বারের হাউজিং প্লটের সামনে হাত পা বাধা ও জবাইকৃত লাশদেখলে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদদেয়। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিশুক চালক ফেরদৌসের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে র্যাব মদনগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড রকিব (২১)কে গ্রেপ্তার করে ওই দিন সন্ধ্যায় বন্দর থানা পুলিশে সোর্পদ করে।
পরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক রবিউল গ্রেপ্তারকৃত রকিবকে ১৬৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তারকৃত রকিব হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
এদিকে সঙ্গীয়র্ফোস গ্রেপ্তারকৃত আসামীর তথ্যে ভিত্তিতে গত শনিবার ফেনী জেলায় অভিযান চালিয়ে অপর খুনি শিপলুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরে গ্রেপ্তারকৃত অপর খুলি শিপলু তথ্যমতে রোববার বরুন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজিবকে ও পরে তাদের তথ্য মতে একই দিনে মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইদুল ইসলাম ও ইব্রাহিম মাঝিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।