বন্দরে কলেজ ছাত্রী গোসলের অশ্লীল ভিডিও ধারন করে অসামাজিক করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ৪ বখাটে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত বখাটেরা হলো মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার হোসাইনদি এলাকার মৃত রিপন মিয়ার ছেলে মেহেরাব হোসেন ইমন (২১) বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার হাসান মিয়ার লম্পট ছেলে ইয়াসিন (১৯) একই থানার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার সেলিম হোসেন মিয়ার ছেলে সিজান (২০) ও একই এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে শুভ (১৯)।
গত শনিবার ( ১০ সেপ্টম্বর ) রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় বন্দর থানার মোল্লা বাড়ী এলাকায় এ অশ্লীল ভিডিও ধারনের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মা আখি আলম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৪ লম্পটসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৯(৯)২২।
মামলা তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টম্বর রাত ২টায় বন্দর কলেজ ছাত্রী (১৭) তার নিজ বাড়িতে গোসল করার সময় নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মেহেরাব হোসেন ইমন, ইয়াছিন, সিজান ও শুভসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ বখাটে যুবক গোসলের অশ্লীল ভিডিও ধারন করে।
পরে উল্লেখিত বখাটেরা অজ্ঞাত ৫/৬ জনের সাথে ধারনকৃত অম্লীল ভিডিও আদান প্রদান করে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (৯ স্পেটম্বর) রাত ১২টায় লম্পট যুবক শুভ মোবাইলে ফোন দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে জানায় আমার কাছে একটি অশ্লীল গোপন ভিডিও রয়েছে। আমার সাথে শারীরিক সর্ম্পক করতে হবে। এতে রাজি না হলে ধারনকৃত গোসলের অশ্লীল ভিডিও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
এ ছাড়াও গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় লম্পট বখাটে যুবক ইমন, ইয়াসিন, সিজান ও শুভ ভ’ক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর সাথে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপসৃষ্টি করাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারনকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
পরে বিষয়টি ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী তার মাকে জানালে এ ব্যাপারে তার মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাতেই ৪ বখাটেকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে।