বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতীলীগ ফতুল্লা থানায় কোনো কমিটি নেই তবুও পদ পদবী নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগেই আছে। একজন নিজেকে সভাপতি দাবী করেন, আরেকজন দাবী করেন আহ্বায়ক।
ফতুল্লা কুতুবপুর ইউনিয়নের মধ্য রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা একেএম রফিকুল ইসলাম (লাল) নিজেকে সভাপতি দাবী করেন। আরেকজন একই ইউনিয়নের পাগলা রেললাইন এলাকার বাসিন্দা মিলন মোল্লা নিজেকে আহ্বায়ক দাবী করেন।
ফতুল্লায় তাঁতীলীগের কমিটি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ফতুল্লা তাঁতীলীগের কমিটির বিষয়টি ক্লিয়ার করতে পারবে যারা জেলার দায়িত্ব পালন করছে। তারা যদি বিষয়টি ক্লিয়ার না করে তাহলে দুই গ্রুপের রেষারেষি নিয়ে যেকোনো সময় একটা বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে।
এবিষয়ে ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের আহ্বায়ক দাবী করা মিলন মোল্লা জানান, আমাদের একটি আহ্বায়ক কমিটি আছে কিন্তু জেলা তাঁতীলীগের আহ্বায়ক এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল আমাদের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেইনি তবে আমি জেলার সদস্য হিসাবে আছি তাই থানার আহ্বায়ক দায়িত্ব পালন করতে পারবো।
তাছাড়া ফাতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারী আমাকে অনুমোদন দিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচী সক্রিয়ভাবে পালন করি এবং আওয়ামী লীগের মিটিং মিছিলেও উপস্থিত থাকি।
একই বিষয়ে ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সভাপতি দাবী করা একেএম রফিকুল ইসলাম (লাল) জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সাবেক সভাপতি ইরফান উদ্দিন ইপু ২০১৭ সালের ১২ মে আমাকে সভাপতি করে ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের কমিটি দিয়েছেন এর পর ফতুল্লা থানায় তাঁতীলীগের কোনো সম্মেলন হয়নি এবং কোনো কমিটিও হয়নি।
পর্যায়ক্রমে কোনো কমিটি না-হওয়া পযন্ত আমিই ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সভাপতি। তাছাড়া আমি আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচী সক্রিয়ভাবে পালন করি এবং আওয়ামী লীগের মিটিং মিছিলেও উপস্থিত থাকি।
জেলা তাঁতীলীগের আহ্বায়ক এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, আমি আহ্বায়ক হওয়ার পর ফতুল্লা থানায় বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতীলীগের কোনো কমিটি দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত।
এদিকে জেলা তাঁতীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ইরফান উদ্দিন ইপু বলেন, আমি জেলার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ফতুল্লা থানায় তাঁতীলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখন পযন্ত ফতুল্লা থানায় কোনো সম্মেলন হয়নি সুতরাং আগের কমিটিটা এখনো বৈধ আছে।
উল্লেখ, পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান তাঁতী সমিতির নামে যাত্রা শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির, এরপর বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি থেকে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ নাম হয়।