নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ১৯ ওয়ার্ড ২৭ ওয়ার্ডে জাতির শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচী পালন করেছে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের ২৫টি স্পর্টে আলোচনা সভা, দোয়া মিলাদ ও নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ (বন্দর অঞ্চল) মদনগঞ্জ বটতলা, বন্দর খান বাড়ী , সোনাকান্দা কিল্লা, ছালেহনগর পল্লী বিদ্যুৎ মোড়, কদম রসূল দরগাহ, নবীগঞ্জ স্কুল, লক্ষণখোলা সমবাড়িয়া বাজার, বান্টি বাজার, বান্টি ব্রিজ, মদনপুর চৌরাস্তা এলাকায় আলোচনা, দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, ওসমান গণি ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিয়ষক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আওয়াল রহমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, কার্যকরি সদস্য শামীম খাঁ, জালাল উদ্দিন জানু, কাইয়ূম পারভেজ, কৃষকলীগ নেতা শাহজামাল খেখান, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট সিরাজুল মামুন, মহানগর যুব মহিলীগ নেত্রী নুরুন্নাহার সন্ধ্যা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ ওমর খালেদ এপন ও সাজিম আহম্মেদ প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, গোপালগঞ্জের খোকা আমাদের সকলের বঙ্গবন্ধু যদি না থাকতেন, তাহলে এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ হত না। আমরা যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ই মার্চ ভাষণ শুনেছেন তারা এই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
সেই দিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যদি একটি গুলি চালানো হয়, আর যদি কাউকে রক্তাক্ত করা হয়, তাহলে তোমরা যা যা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। ওই ভাষনের পর বাঙালী মানুষ বাংলাদেশকে পাক হানাদার থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। ৯মাস টানা যুদ্ধে শেষে বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে এবং সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা জন্য সরকার গঠন করে।
কিন্তু যারা বাংলাদেশ স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারাই ৭৫ সাল ১৫ আগষ্ট ঘটনা ঘটিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার হত্যার বিচার বন্ধ করার জন্য আইন পাশ করা হয়। ৯৬ সালে বাঙালী মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে বসানো হয়, তখন বঙ্গবন্ধু বিচারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়।
তিনি আরো, এগুলো করে ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেয়। ২০০৫ সালের আজকের দিনে বিএনপি জামাত সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা করে তারা দেশকে নষ্ট করতে চেয়েছিল দেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। জেএমবি আজ আবারও বিএনপি জামাতের সাথে তাল মেলাচ্ছে।
আজকের দিনে ২০০৫ সালে সারা দেশে একসাথে বোমা হামলা হয়েছিল। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশে একটা মৌলবাদী অগণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রমান করেছেন যে বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদের ঠাই নেই কোন মৌলবাদের ঠাই নেই। বাংলাদেশ কোনদিন তালেবানের রাষ্ট্রে পরিনত হবে না।
তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে চিরতরে উৎখাত করার চেষ্টা করেছিলাম। সেটা হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসতে বিএনপি জামাত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ১৫ আগস্টে জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে তারা প্রমান করেছে বাংলাদেশ স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে চেয়ে ছিলো।