ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্বামীর পরকিয়ার কথা জেনে প্রতিবাদ করায় নির্যাতনে করে মুখে বিষ ঢেলে স্ত্রী ইসমত আরা ওরফ ইসফাত জাহান কে হত্যা করার চেস্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলীর লক্ষিনগর এলাকায়।
এ ঘটনায় ফতুল্লার বক্তাবলী লক্ষিনগরের মৃত ইউসুফ আলী ব্যাপারীর মেয়ে নির্যাতনের শিকার ঐ গৃহবধূ ইসমত আরা ওরফে ইসফাত জাহান(৩৫) বাদী হয়ে স্বামী সহ পাচঁ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্তরা হলো বাদীর স্বামী ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলী লক্ষিনগরের মৃতঃ খবির উদ্দিনের পুত্র আলমগীর মীর(৪৫),তার ভাই কবির মীর(৫০), বোন মাহমুদা(৫৫), বাদীর স্বামীর পরকিয়া প্রেমিকা নাসরিন(২৭) ও আলিরটেকের মুক্তারকান্দির নাসরিন(২৭)।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ১৬ বছর পূর্বে অভিযুক্ত আলমগীর মীরের সাথে পারিবারীক সম্মতিক্রমে বাদীর বিয়ে হয়।তাদের সাংসারিক জীবনে আরাফাত মীর(১১) ও আদনাম মীর(৭) নামক দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিন বছর ধরে বাদীর আপন বড় ভাই ফেরদৌসের স্ত্রী নাসরিনের সঙ্গে বাদীর স্বামী পরিকিয়ায় লিপ্ত হয়।
এরপর থেকে সংসারে অশান্তির সৃস্টি হয়। স্বামীর ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীর পরকিয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জেনে ফেলায় বাদী কে প্রায় সময় নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে বাদীর স্বামী ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবী করে।এ দুই বিষয় নিয়ে বাদী কে চরম নির্যাতন করে স্বামী আলমগীর মীর।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে স্বামী আলমগীর সহ তার ভাই ও বোন কোন প্রকার কারন ছাড়াই ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দরজা লাগায়ি বাদী কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। এতে বাদী অচেতন হয়ে পরলে অভিযুক্ত স্বামী সহ তার ভাই বোনেরা বাদীর মুখে জোড় পূর্বক বিষ ঢেলে দেয়।
এক পর্যায়ে কে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার জন্য বাদীর শরীরে কেরাসিন ঢালিয়া দেয়। এ সময় বাদীর জ্ঞান ফিরে আসলে সে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিস্ট সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে তৎক্ষনাৎ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সোহাগ চৌধুরী জানায়, অভিযোগের তদন্তের সত্যতা পাওয়া গেছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।