নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে গতকাল উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি স্থানীয় হাইজাদী ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ সংরক্ষিত নারী আসন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ৬ জন। ভোটার সংখ্যা ছিল ৭,৭৯৬ জন।
অপরটি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ৪ জন। এই ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪,৩৭৮ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩টি। কালাপাহাড়িয়ায় আবুল হোসেন (তালাপ্রতীক) নামে এক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। এসময় তিনি তার লোকজনের ওপর প্রতিপক্ষের হামলা ও ভোট প্রদানে বাঁধার অভিযোগ তুলেন।
এদিকে ভোট গ্রহণের শুরুতেই হাইজাদীর সিংহদী এ.এম মোতাবেল ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভোট কক্ষে ইভিএমে ভোট প্রদান করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন অনেক ভোটার। এতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী ভোট গ্রহণ ব্যাহত হয়। এ সময় ভোটাররা বিরক্ত হয়ে পড়েন।
এই ভুতে ভোট দিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার এড. মামুন মাহমুদ মিয়া বলেন, ‘ভোট দিতে এসে ইভিএমে ক্রুটি দেখা দেয়। এতে ভোট প্রদান করতে তাকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এ সময় অনেকে ভোট দিতে এসে এমন বিড়ম্বনার শিকার হন। তবে মামুন মাহমুদ বলেন, ভোটের প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ছিল। মনে হয়েছে আমার ভোটটি আমার পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পেরেছি।’
পরে প্রিজাইডিং অফিসার ইভিএমের ক্রুটি দ্রুত সমাধান করলে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু করা হয়। তবে দিনভরই সবগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল স্থানীয় ১২নং মাধবদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ভোট কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশেও বাঁধা প্রদান করা হয়।
অপরদিকে কালাপাহাড়িয়ার ৯নং ওয়ার্ডের খালিয়ার চর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগ হলে ৪ প্রার্থীর মধ্যে আবুল হোসেন (তালাপ্রতীক) নামের প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
এ সময় এই কেন্দ্রে বেশ কিছুক্ষণ ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হরে মাইকিং করে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহবান করা হয়।
এ ব্যাপারে রির্টানিং অফিসার ও আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এলিন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, ’ভোটার উপস্থিতি কম। এতে আমাদের পক্ষ থেকে কোন দুর্বলতা নেই।
ভোটার কেন্দ্রে আসার জন্য আমরা যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছি; ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে মাইকিং করেছিলাম। তাতেও উপস্থিতি কম ছিল। হয়তোবা প্রার্থীরাই নিজেদের এলাকায় সঠিকভাবে ভোটারদের সেইভাবে মুটিভেশন করতে পারেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘কালাপাহাড়িয়ার ৯ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন থেকে যিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এতে আমাদের কোন দুর্বলতা নেই।’
প্রসঙ্গত. ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ১০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সময় উক্ত ওয়ার্ডগুলোতে রহস্যজনক কারণে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরে ওয়ার্ডগুলো শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনার ।