জরুরী সেবা ৯৯৯- এ ফোন পেয়ে ফতুল্লার ভুইগড়ের একটি পশুর হাটে গিয়ে জোর করে গরু নামানোর সময় বাধা দেয়ায় পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে ইজারাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) ভোরে ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় মানিক চাঁনের হাটের সামনে লিংক রোডে এঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাৎক্ষনিক ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-সুজন সরদার, অপু কাজী ও সোহেল। এঘটনায় আহত পুলিশ অফিসার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার ভোর ৪টায় লিংক রোড দিয়ে নারায়ণগঞ্জে ট্রাক যোগে গরু আসার পথে মানিক চাঁনের লোকজন তাদের আটকিয়ে জোর করে গরু হাটের নামানোর চেষ্টা করছে। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বার থেকে এবিষয়ে সংবাদ পেয়ে এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে যায় এবং ট্রাক থেকে গরু নামাতে বাধা দেয়।
এতে মানিক চাঁনের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ইটের আঘাতে এসআই মিজানুর রহমান আহত হয়। তখন খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে এসআই মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে লাঠি ও ইটের টুকরোসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফতুল্লার সাইনবোর্ড শান্তিধারা ও ভূইগড় এলাকায় জনসাধারনের চলাচলের গলি সড়কে প্রতিবছর পৃথক দুটি হাট বসায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এবিষয়ে সম্প্রতি তদন্ত করে ফতুল্লা সার্কেলের এ্যাসিলেন্ড প্রভাবশালীদের হাটের আবেদনে আপত্তি জানান।
এরপরও রহস্যজনক কারনে তাদের হাটের ইজারা দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ইজারা পেয়ে প্রভাবশালী বাসা বাড়ি থেকে বের হওয়ার গেইটেও গরু বেধে রেখেছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই বাড়ির গেইটে তালা দেয়ার হুমকি দেয় ইজারাদারের সন্ত্রাসীরা।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শান্তিধারা ও ভূইগড় এলাকায় কোন মাঠ নেই। তারা বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাসা বাড়ির গেইট বন্ধ করে হাট বসায়।
এতে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এদুটি হাটের ইজারা না দিতে গোয়ান্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও আপত্তি জানানো হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদ জানায়, মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরকেও গ্রেফতারের চেস্টা করছে পুলিশ।