জাহিদুল ইসলাম সুমন (৩০) ২৭ বছর বয়সী এক তরুনীর সাথে প্রেম করে প্রতারণা করে অনত্র বিয়ে করে। বিয়ে করার পরও ওই তরুনী প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে জোড়পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে হয়েছে বলে নিজ বাড়ীতে আটকে আটকে রাখে।
এমন অভিযোগে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোর রাতে তাকে ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়াস্থ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় একই সাথে উদ্ধার করা হয় অপহৃত তরুণীকে।
এ ঘটনায় তরুনী বাদি হয়ে অপহরণের অভিযোগ এনে জাহিদুল ইসলাম সুমন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদুল ইসলাম সুমন ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব রসুলপুরের মৃত আবু তালেবের পুত্র।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃত জাহিদুল ইসলাম সুমন বাদির দূর সম্পর্কের আত্নীয়। বিয়ের করার কথা বলে তার সাথে ৩-৪ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত দেড় মাস পূর্বে জাহিদুল ইসলাম সুমন বিয়ে করে। বিবাহিত কিনা একাধিকবার জিজ্ঞেস করলেও প্রতিবারই বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করে জাহিদুল ইসলাম সুমন।
চলতি মাসের ১ তারিখে বাদিকে ফোন করে জানায় যে তাকে বিয়ে করবে। সে মোতাবেক ৪ তারিখ বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বাদি পাগলা বাসস্ট্যান্ডে এসে জাহিদুল ইসলাম সুমনকে ফোন করে। সে আসতে বিলম্ব করছিলো বিধায় পরিচিত লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে জাহিদুল ইসলাম সুমন দেড় মাস পূর্বে বিয়ে করেছে।
কথা জানার পর বাদি নিজ বাসায় যাওয়ার জন্য রিক্সা নেওয়ার সময় জাহিদুল ইসলাম সুমন বাদিকে বাধা প্রদান করে এবং তার সাথে তাকে যেতে বলে। বাদি অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিক্সায় করে জাহিদুল ইসলাম সুমনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে জোর পূর্বূক একটি কাগজে স্বাক্ষর করায় এবং তাকে বলে তোমাকে বিয়ে করা হলো।
পরদিন বাদি সুযোগ বুজে তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে নিজ অবস্থানের কথা অবগত করে। পরে পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে চাটটার দিকে অভিযান চালিয়ে জাহিদুল ইসলাম সুমন কে গ্রেপ্তার করে এবং বাদিকে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হাফিজুল জানায়, চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ছেলেটি দেড় মাস পূর্বে অপর একটি মেয়েকে বিয়ে করে।
গত কয়েকদিন পূর্বে ছেলেটি মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে পাগলা ডেকে আনে।ইতিমধ্যে মেয়েটি জেনে যায় ছেলের বিয়ের কথা। ফলে মেয়েটি ছেলেকে বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করলে ছেলেটি জোড়পূর্বক মেয়েকে অপহরণ করে।
মঙ্গলবার ভোর রাত চারটার দিকে মেয়টিকে উদ্ধারসহ অপহরণের সাথে জড়িত ইয়াসিন কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে মেয়েটি নিজেই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।