ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়কে পরিবহন ডাকাত সেন্টুর অত্যাচারে অতিষ্ট ও আতঙ্কিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। একাধিক মামলার আসামী ও চিহিৃত কাঁচপুরের পরিবহন ডাকাত সেন্টু মহাসড়কের কাঁপুর থেকে সোনারগাঁ পর্যন্ত সকল ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা অভিযোগ করেন।
তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আব্দুল্লাপুর থেকে সোনারগাঁ পর্যন্ত চলাচলরত আসমানী পরিবহনের একাধিক মালিক ও শ্রমিকরা জানান, কাঁচপুর এলাকার চিহিৃত ডাকাত সেন্টু সন্ধ্যার পর থেকে তার একাটি বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
কেহ বাধা দিলে তাদের মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় সে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে পরে পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়। দীর্ঘ দিন যাবত তার অপকর্মে অতিষ্ট পরিবেহন মালিকরা।
আসমানী পরিবহনের এক চালক জানান, গত ৫ জুন ডাকাত সেন্টুর নেতৃত্বে ৪/৫ জনের ডাকাত দল কাঁচপুরের লাবলী সিনেমা হলের সামনে এলে গাড়ির গতি রোধ করে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চালক ও হেলপারকে মারধর করে যাত্রীদের টাকা পয়সাসহ গাড়ির ভাড়ার ১৭ হাজার টাকাসহ গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ব্যপারে গাড়ির মালিক ওয়াসেল ভ’ইয়া জানান, তার দুটি আসমানী পরিবহনের কাগজ ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় পরিবহন ডাকাত খ্যাত সেন্টু ডাকাত। পরে গাড়ির কাগজ চাইলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
এছাড়া অন্যান্য পরিবহনের চালকরা জানান, কাঁচপুরে একটি ডাকাত সিন্ডিকেট তৈরী করেছে সেন্টু। তার নেতৃত্বে ডাকাত চক্র কাঁচুপর থেকে সোনারগাঁ পর্যন্ত পরিবহনে ডাকাতি করে বেড়ায়। সে একাধিক বার গ্রেফতার হলেও পরি জামিনে এসে পুনরায় ডাকাতি অব্যাহত রাখে।
তার কাছে পরিবহন মালিক ও চালকরা জিম্ম বলে জানা গেছে। চালকরা কাঁচপুর থেকে সোনারগাঁ পর্যন্ত সেন্টু ডাকাতের জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। তার বিরুদ্ধে একাধির মামলা থাকার পরও সে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কাঁচপুরে হাইওয়ে থানা ও সোনারগাঁ থানা পুলিশ পুলিশ তাকে ধরছেনা। চাউর রয়েছে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই সে তার অপকর্ম করে বেড়ায়।
অপর একটি সূত্র জানায়, ডাকাত সেন্টু রাতে পরিবহনে ডাকাতির পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানেও চুরি-ডাকাতি এবং রাস্তায় ছিনতাই করে বেড়ায়। সে এত বেপরোয়া অনায়াসে মানুষ খুন করতে পারে।
তার অপকর্মে এ সড়কটি এখন অজানা আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। তাই পরিবহন মালিক ও চালকরা সেন্টু ডকাতের কবল থেকে রক্ষার জন্য পুলিশ সুপার ও র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।