বাসার ছাদে চার দিকে লোহার তৈরি কবুতরের খাঁচা আর মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় প্রতি রাতেই বসে জুয়ার আসর। এভাবেই বছরের বছর বছর ধরে প্রতি রাতেই ফতুল্লার শারজাহান রোলিং মিলস এলাকায় নিজ বাসার ছাদে চলে আসছে রাজন- মোহনের জুয়ার আসর।
আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কবল থেকে রেহাই পেতে জুয়ার আসর বসার পূর্বেই বাসার নীচ তলার কলাপসিবল গেইটে তালা মেরে লোক নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হয় গেইটে। বাসায় যাওয়ার তিনটি রাস্তার মোড়ে রাতভর পাহাড়ায় নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক পাহারাদার।
এরা সন্দেহ ভাজন কাউকে দেখলে বা প্রশাসনের কোন গাড়ী বা দল কে দেখলে রাজন কিংবা মোহন কে ফোন করে অবগত করে দেয়। সংকেত পাওয়ার পরপর তারা ছাদের আলো নিভিয়ে দিয়ে তিন তলা বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন রুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছরের ও বেশী সময় ধরে আক্কাস আলীর দুই পুত্র রাজন ও মোহন নিজ বাড়ীতে জুয়ার আসর বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রাত আটটা থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯-১০ টা পর্যন্ত চলে এই জুয়ার আসর।
সূত্র মতে জুয়ার আসরের পাশাপাশ চলে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের কাজ। জুয়ার আসরে পুলিশ দু'বার অভিযান চালিয়ে রাজন-মোহনসহ বেশ কয়েক জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। সামান্য কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারো জুয়ার আসরে সক্রিয় হয়ে পরে।
স্থানীয়রা জানায়,শুরু থেকেই রাজন- মোহনের জুয়ার আসরে সর্ব প্রকার সহোযোগিতা করে আসছে আলাউদ্দিন ওরফে জুয়ারী আলাউদ্দিন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ কে ম্যানেজের নাম করে জুয়ার আসর থেকে প্রতি মাসে জুয়ারী আলাউদ্দিন মোটা অংকের টাকা উত্তলোন করতো। ঈদের পূর্বে ও জুয়ারী আলাউদ্দিন থানা পুলিশের নাম করে জুয়ার টাকা উত্তোলন করে কিন্ত সে টাকা জুয়ারী আলাউদ্দিন নিজেই আত্নসাৎ করে।
আত্নসাতের বিষয়টি রাজন ও তার ভাই মোহন জেনে যাওয়ায় জুয়ারী আলাউদ্দিনের সাথে বাক- বিতন্ডতার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আলাউদ্দিন দাপা খোজপাড়ার স্বপন কে নিয়ে পৃথক একটি গ্রুপ তৈরি করে পৃথক ভাবে জুয়ার আসর বসানোয় উভয় গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লার শারজাহান রোলিং মিল এলাকার রাজন- মোহনের জুয়ার আসর বন্ধে ফতুল্লা মডেল থানার জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।