ফতুল্লার শারজাহান রোলিং মিলস এলাকায় জুয়ার বোর্ড বসানো কে কেন্দ্র করে রাজন- মোহন ও আলাউদ্দিন-স্বপন গ্রপের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
তথ্য মতে, এক সময় রাজন, মোহন, আলাউদ্দিন এক সাথে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করে আসলেও ১৫-২০ দিন পূর্বে আলাউদ্দিনের সাথে জুয়ার বোর্ডের অর্থ নিয়ে রাজন- মোহনের সাথে দ্ধন্ধ হয়। এতে করে আলাউদ্দিন দাপা খোজ পাড়াট স্বপন কে সাথে নিয়ে পৃথক একটি জুয়ার বোর্ড বসায়। এতে করে দ্বন্দ্ব চরমে উঠে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মাঝে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে,শারজাহান রোলিং মিলস এলাকার আলী আক্কাস মিয়ার দুই পুত্র রাজন- মোহন ও আলাউদ্দিন ওরফ জুয়ারী আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে বছরের পর বছর ধরে নিজ বাড়ীতে প্রতি রাতে জুয়ার আসর বসিয়ে আসছে একই সাথে শারজাহান রোলিং মিলস বাজার এলাকায় তিন তাসের এবং ঝান্টু-বান্টু নামের জুয়ার বোর্ড বসিয়ে আসছিলো।
সূত্রটির দাবী বাসায় জুয়ার আসর বসানো ও জুয়ার বোর্ড থেকে উত্তোলনকৃত একটি অর্থ জুয়ারী আলাউদ্দিন থানা পুলিশের নাম করে রাজন- মোহনের নিকট থেকে নিয়মীত আদায় করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের সময় ও মোটা অংকের টাকা নেয় জুয়ারী আলাউদ্দিন। কিন্ত থানা পুলিশের নাম করে জুয়ারী আলাউদ্দিন টাকা নিলেও সে নিজেই টাকা আত্মসাৎ করে।
বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পরলে আলাউদ্দিন ওরফে জুয়ারী আলাউদ্দিনের সাথে রাজন ও মোহনে বাক বিন্ডতার সৃস্টি হয় এবং দুই ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দাপা খোজ পাড়ার স্বপন কে নিয়ে জুয়ারী আলাউদ্দিন পৃথক গ্রুপ তৈরি করে একটি রুম ভাড়া নিয়ে জুয়ার আসর ও বাজার এলাকায় ঝান্টু-বান্টু নামক জুয়ার আসর বসায়। অপরদিকে রাজন- মোহনের নেতৃত্বে তাদের নিজ বাসায় রাতের জুয়ার আসর সহ বাজারে তিন তাসের জুয়ায় তারা সক্রিয় থাকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে রাজন- মোহন ও জুয়ারী আলাউদ্দিন-স্বপন বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
উভয় গ্রুপ নিজেদের শক্তির পাল্লা ভারী করতে নিজ নিজ গ্রুপে টেনে নিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের। এ সকল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে গত দু' দিনে একাধিক বার মহড়া দিয়েছে রাজন-মোহন ও জুয়ারী আলাউদ্দিন- স্বপন।
বড় ধরনোর আশংকা এড়াতে এই দুই বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার সহ জুয়ার আসর বন্ধে জেলার আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছে স্থানীয়বাসী।